শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ব্রিটেন - ইইউ সম্পর্কে অবনতি ঘটছে

ব্রেক্সিট-পরবর্তী পদক্ষেপ

৩১ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে ব্রিটেনের। আগামী সপ্তাহে ব্রিটেন ও ইইউর মধ্যে ব্রেক্সিট-পরবর্তী সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে। কিন্তু তার আগেই দুই পক্ষের মধ্যে জোরালো মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ২০২১ সালের শুরু  থেকে বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্কের রূপরেখা কী দাঁড়াবে- তা নিয়ে চলতি বছরের বাকি সময়টা দুই পক্ষই আলোচনা করবে। আগামী সপ্তাহ থেকেই সেই আলোচনা শুরু হবে। কিন্তু তার আগেই দুই পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার ইইউ ব্রিটেনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার চূড়ান্ত রূপরেখা স্থির করেছে। সদস্য দেশগুলোর ইইউর ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়েকে এই রাষ্ট্রজোটের প্রতিনিধি হয়ে আলোচনা চালানোর ক্ষমতা দিয়েছেন। তার দল সেই নীতির ভিত্তিতেই আলোচনা শুরু করবে। বাণিজ্য ছাড়াও নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ভ্রমণ, মাছ ধরার অধিকার ইত্যাদি বিষয় আলোচনায় স্থান পাবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঐকমত্য অর্জন করা সম্ভব না হলে হয় আলোচনার সময়সীমা বাড়াতে হবে, অথবা কোনো বোঝাপড়া ছাড়াই ব্রিটেন ইইউর অভ্যন্তরীণ বাজার ও শুল্ক এলাকা ত্যাগ করবে। আলোচনার আগেই দুই পক্ষের অবস্থানের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য দেখা দিয়েছে। এখনকার মতোই ইইউর অভ্যন্তরীণ বাজারে ব্রিটেনের প্রবেশের অধিকার অনেকটাই বজায় রাখার প্রস্তাব রেখেছে ব্রাসেলস। কিন্তু তার শর্ত হিসেবে ব্রিটেনকে ইইউর বেশির ভাগ বিধিনিয়ম মেনে চলতে হবে। মিশেল বার্নিয়ে বলেন, ইইউ ব্রিটেনের সঙ্গে সার্বিক ও স্থায়ী এক  বোঝাপড়া করতে প্রস্তুত। তবে যে কোনো মূল্যে চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে না। উল্লেখ্য, সময়ের চাপের বদলে দুই পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য ‘ভালো’ চুক্তির লক্ষ্য স্থির করেছে ইইউ।

ব্রিটেন আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউর সঙ্গে আলোচনার ম্যান্ডেট প্রকাশ করবে। সোমবারই ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা সে বিষয়ে আলোচনা করেছে। এক্ষেত্রে ব্রিটেনের অবস্থান একেবারেই ভিন্ন। প্রথমত, যে কোনো মূল্যে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই আলোচনা শেষ করতে বদ্ধপরিকর বরিস জনসনের সরকার। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি বেক্সিট পুরোপুরি কার্যকর করে ‘স্বাধীন’ ব্রিটেন বাকি  দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চায়। প্রয়োজনে কোনো চুক্তি ছাড়াই ইইউর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সম্ভাবনার কথা বলেছে ব্রিটেন। কানাডার সঙ্গে ইইউর চুক্তির ভিত্তিতে বোঝাপড়া চায় সে দেশ। এদিকে জাতিসংঘের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রিটেন কোনো বোঝাপড়া ছাড়াই ইইউর অভ্যন্তরীণ বাজার ত্যাগ করলে সে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের মারাত্মক ক্ষতি হবে। বছরে প্রায় ৩২০ কোটি ডলার মূল্যের লোকসানের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সেই রিপোর্টে। ডয়েচে ভেলে

সর্বশেষ খবর