করোনার বিস্তার শুরু হয়েছে মাস তিনেক। কিন্তু এর গতি প্রকৃতি ও প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর গবেষক-বিজ্ঞানীরা আশঙ্কাই করছেন ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতোই করোনাভাইরাসও প্রতি বছর ছড়িয়ে পড়তে পারে? বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে সংক্রমণ ঘটাবে? তাঁদের মতে, অবিলম্বে এর টিকা এবং চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার না হলে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। আপাতত আমেরিকা ও চীনে দুটি ওষুধ মানবদেহে প্রয়োগ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চললেও তা চূড়ান্ত হতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে। ফলে আগামী বছর শীতের মৌসুমে ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক আকার নেওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেননি আমেরিকার সরকারিভাবে সংক্রামক রোগের গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া অ্যান্টনি ফাউচি। তাই তার আগেই করোনার চিকিৎসা ও টিকা চূড়ান্ত করার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন তিনি। কেন এমন আশঙ্কা? বুধবার ফাউচি জানিয়েছেন, গবেষণায় উঠে এসেছে মূলত শীতের সময়েই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যেটা দেখছি আফ্রিকার দক্ষিণ অংশে এবং দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোতে শীতের সময়েই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। শীতের মৌসুমেই ছড়াচ্ছে, এটার ভিত্তি যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে আগামী শীতের মৌসুমের আগে আমাদের প্রস্তুত থাকতেই হবে।’ তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, ‘এই কারণেই আমরা একটা ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছি। দ্রুত পরীক্ষা করে সেটাকে যাতে আগামী শীতের মৌসুমের আগেই চূড়ান্ত করে ফেলা যায়, তার চেষ্টা চালাচ্ছি।’ কয়েক দিন আগে থেকেই আমেরিকায় করোনার প্রতিষেধক টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে মানবদেহে। তারও আগে থেকে একই প্রক্রিয়া চলছে চীনে। ফাউচি বলেন, ‘বর্তমানে দুটি টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে, একটি আমেরিকায় এবং একটি চীনে। কিন্তু সেটা চূড়ান্ত হতে এক থেকে দেড় বছর লাগবে।’ গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের তোড়জোড়ও চলছে। অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া ড্রাগ ক্লোরোকুইন এবং হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের সাফল্যও নজরে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন এই সংক্রমণ (করোনাভাইরাস) কমাতে সফল হবই।