উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে চীনের অব্যাহত নৃশংসতার বিষয়ে মুসলিম দেশগুলোর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্ট ব্রিটিশ সাংবাদিক কোহেন। তিনি দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক নিবন্ধে মতামত তুলে ধরে বলেছেন, এই দেশগুলো কেবল তখনই মুসলিম সংহতির ধারণাটি ব্যবহার করে, যখন তারা এটিকে নিজেদের অনুকূলে বলে মনে করে।
কোহেন লিখেছেন, মুসলমানরা নীরবতায় পড়ার মূল কারণ হলো, রুশদি, জিল্যান্ডস-পোস্টেন ও চার্লি হেড্ডোর বিরুদ্ধে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা মুসলিম সংহতির ধারণাটি কেবল তখনই ব্যবহার করে, যখন এটি তাদের সঙ্গে যায়।
২০১৯ সালের জুলাইয়ে চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে ‘স্বাধীন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক’ পাঠানোর লক্ষ্যে পশ্চিমা দেশগুলো জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল। কিন্তু পাকিস্তান, সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলজেরিয়া এবং অন্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, যারা নিজেদের ‘ইসলামের রক্ষক’ বলে দাবি করে, সে দেশগুলো ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল।
করোনাভাইরাসের উৎসস্থল নিয়ে চীনের সর্বগ্রাসী রেকর্ড এবং উইঘুরে মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে সমালোচনাকে দেশটি এখন অপরাধের সমতুল্য হিসেবে প্রতীয়মান করতে চাইছে। এ বিষয়ে যাদের সোচ্চার হওয়া উচিত, তারাই এখন অপ্রত্যাশিত নীরবতায় দেশটির কাছে মাথানত করছে, মতামতে বলেন ওই সাংবাদিক।