শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

পশ্চিমবঙ্গে ভোটযুদ্ধ শুরু

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

শুরু হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচন। আজ সকালে এ ভোটযুদ্ধ শুরু হয়েছে। রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে ৩০টিতে ভোট হচ্ছে। মাওবাদী অধ্যুষিত এ আসনগুলো রাজ্যের জঙ্গলমহল বলে পরিচিত পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত।

সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তার আগে গতকাল সকাল থেকে ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারগুলোয় শুরু হয়ে গেছে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। ভোটকর্মীরাও বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন। ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনের তরফেও কোনো খামতি রাখা হয়নি। ৩০টি কেন্দ্রেই কড়া নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গেই থাকছেন রাজ্য পুলিশের সদস্যরাও। নজরদারি চলবে ড্রোনেও। কভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রতিটি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ভোট শুরু হবে। ভোটার ও ভোটের কাজে যুক্ত প্রত্যেক কর্মীর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। প্রথম দফায় ১৯১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে, এর মধ্যে ২১ জন নারী প্রার্থী। ভোটার ৭৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৪২ জন। নজরকাড়া প্রার্থীরা হলেন মেদিনীপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের অভিনেত্রী জুন মালিয়া, বিজেপির সমিত দাস, বাঘমুন্ডি কেন্দ্রে বর্তমান বিধায়ক কংগ্রেসের নেপাল মাহাতো, রানীবাঁধ কেন্দ্রে রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী সিপিআইএম প্রার্র্থী দেবলীনা হেমব্রম।

পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বারের জন্য সরকারে আসতে মরিয়া ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির লক্ষ্য তৃণমূলকে উৎখাত করে বাংলায় পদ্ম ফুল ফোটানো। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৪২ আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয় পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের জয় ছিল ২২টিতে। এর পর থেকেই রাজ্যটিতে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিধানসভার নির্বাচনে তাদের লক্ষ্য ২০০ আসনে জয়লাভ। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে আসন সমঝোতা করে লড়াই করছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট। এর মধ্যে ১৩৭ আসনে বামফ্রন্ট, ৯১ আসনে কংগ্রেস ও ২৮ আসনে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রার্থীরা লড়াই করছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত একাধিক আসনে জোটের প্রার্থীরা শক্ত পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারেন তৃণমূল ও বিজেপিকে।

পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই আসামেও আজ প্রথম দফার ভোট শুরু হচ্ছে। রাজ্যটির ১২৬ বিধানসভা আসনের মধ্যে প্রথম দফায় ৪৭টিতে ভোট গ্রহণ হবে। এ রাজ্যটিতে মোট তিন দফায় ভোট গ্রহণ হবে। আসামে দ্বিতীয়বারের জন্য সরকারে আসতে মরিয়া বিজেপি। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় জনকল্যাণমূলক প্রকল্প, রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের স্বচ্ছ ভাবমূর্র্তি সামনে রেখেই ভোটারদের মন পেতে চাইছে তারা। ২০১৬ সালে কংগ্রেসকে উৎখাত করে প্রথমবারের মতো সেখানে সরকার গড়ে বিজেপি এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনো রাজ্যে সেটাই ছিল তাদের প্রথম সরকার গঠন।

সর্বশেষ খবর