শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

আফগানিস্তানের মূল বিমানঘাঁটি ছাড়ল মার্কিন সেনারা

আফগানিস্তানের মূল বিমানঘাঁটি ছাড়ল মার্কিন সেনারা

আফগানিস্তানে প্রধান বিমানঘাঁটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিল মার্কিন সেনাবাহিনী। দেশটির প্রধান এই ঘাঁটির অবস্থান বাগরামে। আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার অংশ হিসেবে মার্কিন সেনারা ঘাঁটিটি ত্যাগ করেন। প্রায় ২০ বছর সেখানে অবস্থানের পর গতকাল নিজ সেনাদের সরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। কাবুল থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাগরামের এ ঘাঁটিটি ছিল মার্কিন সেনাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি। এখান থেকে তালেবান ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা পরিচালনা করা হতো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘বাগরাম বিমানঘাঁটি থেকে সামরিক জোটের সব সেনা চলে গেছেন।’ তবে কখন বিমানঘাঁটি ছেড়েছেন, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা। আফগান বাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কবে এই বিমানঘাঁটি হস্তান্তর করা হবে, সে সম্পর্কেও তিনি কিছু বলেননি। বিমানঘাঁটিটি কারাগার হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হয়েছে।

প্রায় দুই দশক ধরে চলা আফগান যুদ্ধের ইতি টানছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আগে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সব সেনা প্রত্যাহার করবে। এ লক্ষ্যে জোরেশোরে কাজ চলছে। প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া অর্ধেকের বেশি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন, আমেরিকার দীর্ঘতম আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি টানার সময় এসেছে। ১ মে থেকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়ে ১১ সেপ্টেম্বরের আগে তা শেষ হবে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০১ সালে আফগান যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। একসময় ৯৩ হাজারের বেশি মার্কিন সেনার উপস্থিতি ছিল আফগানিস্তানে। এপ্রিলে বাইডেন যখন এই যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন, তখন আফগানিস্তানে প্রায় ২ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করছিলেন।

আফগানিস্তান থেকে ধীরে ধীরে নিজেদের সৈন্যও প্রত্যাহার করে নিচ্ছে জোটবাহিনী। গত সপ্তাহ পর্যন্ত ১৯টি দেশ আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। ইতিমধ্যে জার্মানি, ইতালি ও পর্তুগাল সেখান থেকে সব সৈন্য ফিরিয়ে এনেছে।

এদিকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে বিভিন্ন দেশের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের দাবি, এর ফলে দেশটিতে তালেবানরা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর