আমেরিকা সৌদি আরব থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তুলে নিয়েছে। ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থি হুতি বিদ্রোহীদের অব্যাহত হামলার মুখে থাকা দেশটি থেকে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এ ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হয়। একই সঙ্গে তুলে নেওয়া হয় প্যাট্রিয়ট ব্যাটারিগুলোও। গতকাল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আলজাজিরা।
আরব দেশগুলো যখন উদ্বেগের সঙ্গে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার প্রত্যক্ষ করছিল, ঠিক সেই সময়ে রিয়াদের বাইরে প্রিন্স সুলতান বিমান ঘাঁটি থেকেও নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের হুমকি মোকাবিলায় আরব দেশগুলোতে অবশ্য এখনো হাজার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। তবে এ অঞ্চলের রাজতান্ত্রিক দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বিগ হয়ে পড়ছে।বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ইরানের ভেঙে পড়া পরমাণু চুক্তি নিয়ে ভিয়েনায় আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ায় এমনিতেই এই অঞ্চলে ভবিষ্যতে সংঘাতের আশঙ্কা বাড়ছে। তার মধ্যেই সৌদি থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রত্যাহার করল ওয়াশিংটন। অথচ মাঝে-মধ্যেই এ দেশটিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে থাকে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থি হুতি বিদ্রোহীরা। ২০১৯ সালে এই বিদ্রোহীদের হামলায় সৌদি আরবের মোট তেল উৎপাদনের অর্ধেকই বন্ধ হয়ে যায়। ওই ঘটনাতেও রিয়াদের প্রত্যাশা অনুযায়ী তেহরানের ওপর সেভাবে খড়গহস্ত হয়নি ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের রাইস ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক পলিসির একজন গবেষক তৃতীয় জেমস এ বেকার। তার মতে, এই অঞ্চলের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষের অনেকের কাছেই এখন এটা স্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্র আর উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রতি ততটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়। সৌদির দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, ওয়াশিংটন আসলে রিয়াদকে পরিত্যাগের ইঙ্গিত দিচ্ছে।