মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
কভিড মৃত্যুমিছিলের শেষ কোথায়

২২ মাসে সরকারি তথ্যে ৫০ লাখ বেসরকারিভাবে ২ কোটি মানুষের মৃত্যু

২২ মাসে সরকারি তথ্যে ৫০ লাখ বেসরকারিভাবে ২ কোটি মানুষের মৃত্যু

করোনাভাইরাসের এ মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ধনী-দরিদ্র সবাই। এর প্রভাব যেমন পড়েছে ধনী দেশগুলোতে, তেমনি বিপর্যস্ত অবস্থা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর। কভিডে মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত গোটা বিশ্বজুড়ে। তবে মহামারীতে বিশ্বে প্রকৃতপক্ষে কত মানুষ মারা গেছেন তা নির্দিষ্ট নয়। তবে বিভিন্ন দেশের সরকারের দেওয়া তথ্যমতে, এ সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এ সংখ্যা ২ কোটির কাছাকাছি। বহু দেশে সরকারি হিসাবের বাইরে অসংখ্য মানুষ মারা গেছেন, যাদের হিসাব সরকারি খাতায় স্থান পায়নি। এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের ভবিষ্যৎ গতিপথ কেমন হবে তা নির্ভর করে ব্যাপকহারে টিকা দেওয়ার ওপর। বার্তা সংস্থা এএফপির মতে, প্রতিটি দেশ যেসব তথ্য সরবরাহ দিয়েছে তাতে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ সংখ্যা তারও অনেক বেশি। এ বিষয়টিতে নজর রেখেছে ব্রিটেনের বিখ্যাত ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিন।

ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী শুক্রবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৫০ লাখ ১৬ হাজার ৮৮০। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে প্রায় গৃহবন্দী হয়ে রয়েছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। কিন্তু এখন পর্যন্ত রোধ করা যায়নি মহামারীর দাপট। তবে ইকোনোমিস্ট বলছে, করোনায় বিশ্বে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছেন। পাস্তুর ইনস্টিটিউটের মহামারী বিষয়ক প্রফেসর আর্নাউড ফন্টানেট এএফপিকে বলেছেন, এ সংখ্যাটিই আমার কাছে অধিক বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, পূর্ব ইউরোপে জনগণের মধ্যে টিকা নেওয়ার বিরোধিতা প্রবল ছিল। এ কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়ার কাজ ব্যর্থ হয়েছে। ফলে জনগণের মধ্যে ভয়াবহ মহামারী দেখা দিয়েছে।

সর্বশেষ খবর