শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইইউ-তে মতবিরোধ

রাশিয়ান তেল ও গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর নিজেই সমস্যায় পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ওই নিষেধাজ্ঞার পর ইউরোপের দেশগুলোতে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ইউএস ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন মার্কিন আইন প্রণেতাদের বলেছেন, রাশিয়ার তেলের ওপর নির্ভরশীল ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য রাশিয়ার জ্বালানির ওপর শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এখনো সম্ভব নয়। মূলত ইউক্রেনের বুচা শহরে হত্যাযজ্ঞের ভয়ংকর চিত্রের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। তারপরই পদক্ষেপ নিয়ে মিত্রদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতবিরোধ। এদিকে, রাশিয়ায় বেড়েছে রুবলের মূল্যমান। রুবলের মূল্যমান এখন প্রায় ১.২ সেন্ট, যা সংকটের আগে ১.৩ সেন্টের তুলনায় কিছুটা কম। তবে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই মুদ্রার মান নেমে গিয়েছিল ০.৮ সেন্ট বা এরচেয়েও নিচে; অন্তত সেই সময়ের তুলনায় এখন অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে রাশিয়ার মুদ্রা। যদিও মার্কিন ট্রেজারি কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া আশির দশকের বদ্ধ অর্থনীতিতে ফিরে যাচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের প্রায় ৪০ শতাংশ সরবরাহ করে রাশিয়া। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার হিসাবে এর মূল্য প্রতিদিন ৪০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এ ছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের তেলের চাহিদার এক-তৃতীয়াংশই পূরণ করে রাশিয়া। এর মূল্য দিনে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার। এদিকে, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে চলমান বিভেদ চলতি সপ্তাহে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অস্ট্রিয়ার অর্থমন্ত্রী ম্যাগনাস ব্রুনার রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে লুক্সেমবার্গে সাংবাদিকদের বলেন, এটি রাশিয়ার চেয়ে অস্ট্রিয়ার বেশি ক্ষতি করবে। অন্যদিকে, রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে লিথুয়ানিয়া।

সর্বশেষ খবর