অর্থনীতিতে আপাতত কোনো শুভ সংবাদ দিতে পারছে না কেউ। গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতেই আসতে চলেছে মন্দার অভিঘাত। মঙ্গলবার ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ শীর্ষক রিপোর্টে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ) তেমনই পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, ‘২০২৩ সালে একটি মারাত্মক মন্দার মুখোমুখি হতে পারে বিশ্ব অর্থনীতি।’
মূলত মহামারি পরবর্তী সময় থেকেই মন্দার চাপে রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। কিন্তু এই মন্দার অভিঘাত কতটা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে তা নিয়ে একটা ধারণা দিয়েছে সংস্থাটি। আগামী অর্থবর্ষে কোন খাতে বইবে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির হার, তারই আভাস দিয়েছে আইএমএফ। তাতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ৬ শতাংশ বৃদ্ধি ২০২২-এ ৩.২ শতাংশে নামতে পারে। ২০২৩-এ তা আরও নেমে দাঁড়াতে পারে ২.৭! বিশ্ব অর্থনীতির তিন চালিকাশক্তি আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীনে এই মন্দার ধাক্কা প্রবল ভাবে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আইএমএফ।
বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট এবং কভিড-১৯ মহামারীর তীব্র পর্যায় ছাড়া ২০০১ সালের পর থেকে সবচেয়ে দুর্বল বৃদ্ধির হার এটা বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২২ সালের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির পতন, ২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ইউরো এলাকার সংকোচন এবং চীনে ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির সঙ্গে একটানা লকডাউন ও কভিডের প্রভাব এই বৃদ্ধির গতি হ্রাসের অন্যতম কারণ। গবেষণা বলছে, বিশ্বের অর্থনীতি ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, তিনটি শক্তিশালী শক্তির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়েছে এর বৃদ্ধিতে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ, মুদ্রাস্ফীতির চাপের কারণে জীবনযাত্রার ব্যয়বহুল সংকট, এবং চীনে মন্দা এই তিনটি কারণ।
বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক বৈঠকের সময় প্রকাশিত উব্লিউইও প্রতিবেদনও জানাচ্ছে, বিশ্ব অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি ২০২৩ সালে সংকুচিত হবে, যখন তিনটি বৃহত্তম অর্থনীতি- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীনের আর্থিক বৃদ্ধিতে অচলাবস্থাতে দেখা দেবে।