দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের ইতায়েওনে হ্যালোইন উৎসবের সময় ভিড়ের মধ্যে পদপিষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যা ১৫৩ জনে পৌঁছেছে। তবে এখনো ২ হাজার ৬০০ জনের বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় দেশটিতে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়ল। সূত্র : সিএনএন, রয়টার্স।
গত শনিবার রাতে হ্যালোইন উদযাপনের সময় বিপুল সংখ্যক মানুষ ইতায়েওনের একটি সরু গলিতে ঢুকে পড়লে এ পদদলনের ঘটনা ঘটে। সিউলের মেট্রোপলিটন সরকার জানিয়েছে, পদদলনের ঘটনার পর থেকে ২৬০০ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। নিহতদের বেশির ভাগই কিশোর এবং বয়স ২০-এর ঘরের তরুণ-তরুণী। বিদেশিরাও রয়েছেন নিহতদের মধ্যে। তাদের সংখ্যা ২০ জনেরও বেশি। কর্মকর্তারা জানান, বেশির ভাগই নিহত হয়েছেন একটি নাইটক্লাবের কাছে। নিহতদের মধ্যে চীন, ইরান, উজবেকিস্তান, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নরওয়ের নাগরিকও রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত যত বাড়ছিল, রাতের আমোদ-প্রমোদের জন্য বিখ্যাত ইতায়েওনে লোক সংখ্যাও ততই বাড়ছিল। ১০টা ২০ মিনিটে পদদলনের ঘটনার আগেই এমন বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে যায় যে, সেখানে থাকা পুলিশের পক্ষে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
দ. কোরিয়ার নিউজ এজেন্সি ইয়নহাপকে দমকল বাহিনীর প্রধান চই সুঙ-বিওম জানান, হ্যালোইন উৎসবে অংশ নিতে এদিন ইতায়েওনে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সেখানে কোনো গ্যাস লিকেজ অথবা অগ্নিকান্ডের কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এদিকে এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না দেশটির প্রেসিডেন্টসহ সব শ্রেণির মানুষ।
এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়ল। দেশটিতে গতকাল থেকে আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন তিনি।