বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

চাঁদের বুকে আবার যাবে মানুষ

আর্টেমিস-১ এর সফল উৎক্ষেপণ

চাঁদের বুকে আবার যাবে মানুষ

চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল নাসার ‘আর্টেমিস-১’ মিশনের যাত্রীবিহীন মহাকাশযান ‘ওরিয়ন’। চাঁদে আবারও মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ মহাকাশযান পাঠিয়েছে সংস্থাটি। নাসার চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশন সম্পন্ন হবে মোট তিনটি ধাপে। যার প্রথম ধাপ ‘আর্টেমিস-১’। এটি যাত্রীবিহীন অভিযান। যার মূল লক্ষ্য, চাঁদের মাটিতে নামার জন্য সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডিং সাইট’গুলো চিহ্নিত করা।

একই পরীক্ষা হবে মিশনের দ্বিতীয় ধাপেও। তা সফল হলে তৃতীয় ধাপের অভিযানে চাঁদে পাড়ি দেবে মানুষ। ৫০ বছর পর পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহে ফের মানুষ পাঠানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছে নাসা।

এর আগে ১৯৭২ সালে নাসার মহাকাশযান ‘অ্যাপোলো-১৭’ মহাকাশচারী জেন সারনানকে নিয়ে নেমেছিল চাঁদে। সেই ঘটনার অর্ধশতক পূর্তিতে আবার চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে নাসা। তবে, ‘আর্টেমিস-১’ কে এর আগে একাধিকবার পাঠানোর চেষ্টা করেও পাঠানো যায়নি। শুরুতে আগস্টের ২৯ তারিখ উৎক্ষেপণের দিন ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে তা থামিয়ে দিতে হয়। এরপর ২ সেপ্টেম্বর উৎক্ষেপণের দিন নির্ধারিত করা হয়। সেটাও বাতিল হয়। অবশেষে গতকাল রওনা দিয়েছে।

রিও তরল হাইড্রোজেনের ট্যাঙ্কে ছিদ্র ধরা পড়ে। ফলে নাসা আবারও অভিযান বাতিল করে। ‘আর্টেমিস-১’ এর উৎক্ষেপণের সময় রকেটের নিচে থাকা চারটি বড় ইঞ্জিনে ৩০ লাখ লিটার ঠাণ্ডা তরল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন পুড়ে বিপুল শক্তি উৎপাদিত হয়। এ শক্তি কাজে লাগিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেয় রকেট। নাসার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের কাছে এটি একটি ঐতিহাসিক সাফল্য।

এর আগে ১৯৬৯ সালে ‘অ্যাপোলো-১১’ মিশনে প্রথম চাঁদে মানুষ পাঠানো হয়েছিল। নাসার সেই অভিযানে চাঁদে পাড়ি দিয়েছিলেন নীল আর্মস্ট্রং এবং এডুইন অলড্রিন। এরপর ১৯৭২ সালে নাসার মহাকাশযান ‘অ্যাপোলো-১৭’ মহাকাশচারী জেন সারনানকে নিয়ে নেমেছিল চাঁদে। সেই ঘটনার অর্ধশতক পূর্তিতে আবার চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে নাসা।

সর্বশেষ খবর