সোমবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাইডেনের বাড়িতে এফবিআইর অভিযান

গোপন নথি উদ্ধার ♦ সরগরম রাজনীতির মাঠ

বাইডেনের বাড়িতে এফবিআইর অভিযান

ট্রাম্পের পর এবার জো বাইডেনের বাড়িতে অভিযান চালাল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। শনিবার প্রেসিডেন্টের উইলমিংটনের বাসভবন ১৩ ঘণ্টা ধরে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। সেখান থেকে অন্তত  আধডজন গোপনীয় নথি উদ্ধার হয়েছে। তা ইতোমধ্যে আমেরিকায় বিচার বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনের আগে এই তল্লাশি নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের কড়া আক্রমণের মুখে পড়তে হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর আগে শুক্রবার ওই বাড়ি থেকে আরও কিছু নথি জব্দ করা হয়েছিল। সেগুলো বাইডেন সেনেটর এবং বারাক ওবামার সরকারে ভাইস-প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়কার নথি।

বাইডেনের আইনজীবী বব বাওয়ার এ প্রসঙ্গে বলেন,  ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়কার রেকর্ড এবং সম্ভাব্য গোপন জিনিসপত্র অনুসন্ধানের জন্য তার পুরো বাড়িতে তল্লাশি চালাতে বিচার বিভাগ বা ডিওজেকে অনুমোদন দিয়েছেন।’ তবে বাইডেনের আইনজীবীর সাফাই গোপনীয় নথিগুলো অনেক পুরনো। সেগুলো খুঁজে পাওয়ার জন্যই মার্কিন প্রেসিডেন্ট এফবিআইকে তল্লাশি চালাতে বলেছিলেন।

জানা গেছে, সেনেটর ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন উইলমিংটনের বাসভবন থেকে কাজকর্ম করতেন জো বাইডেন। সেই সময়কার ছয়টি নথি, যার ওপরে ‘ক্লাসিফায়েড’ লেখা। সেগুলো লাইব্রেরি থেকে উদ্ধার করেছে এফবিআই। আর এই তল্লাশিকে হাতিয়ার বানাতে ইতোমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিক। মাস খানেক আগে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছিল ডেমোক্র্যাটরা। এমন পরিস্থিতিতে রিপাবলিকানদের এই আক্রমণের ঝড় সামাল দেওয়া কঠিন হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ডেলাওয়ারের সেনেটর ছিলেন বাইডেন। বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। এই সময়কালের নথি বাজেয়াফত হয়েছে। ওই সময়গুলোতে বাড়ি থেকে অনেক     কাজ করতেন বাইডেন। তাই এই নথি রয়ে গেছে।

এ প্রসঙ্গে বাইডেনের প্রতিক্রিয়া, ‘আমার আইনজীবী আমাকে যা পরামর্শ দিয়েছেন তাই মেনে চলছি।’ তবে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি কেন বাইডেনের নিজের বাড়িতে রেখেছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রেসিডেন্সিয়াল রেকর্ডস অ্যাক্টের অধীনে নিয়ম অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসের যে কোনো রেকর্ড প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জাতীয় আর্কাইভে পাঠিয়ে দিতে হয়, যেখানে সেগুলো সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে।

সংবেদনশীল নথিগুলো কীভাবে রাখা হয়েছিল তা তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিশেষ কাউন্সেল     রবার্ট হুরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ২০২৪ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না তা ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর মধ্যে দীর্ঘ অনুসন্ধান এবং পরবর্তীতে আরও নথি বেরিয়ে আসার এ ঘটনা তার জন্য রাজনৈতিক মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।

সর্বশেষ খবর