বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউক্রেনে কর্মকর্তাদের পদত্যাগের হিড়িক

ইউক্রেনে কর্মকর্তাদের পদত্যাগের হিড়িক

ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানের বেশির ভাগ ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে -এএফপি

যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে চলছে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান। তার অংশ হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের রদবদলও চলছে। তবে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই বেশ কজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একজন সিনিয়র সহকারী। তার নাম কিরিলো টিমোশেঙ্কো। তিনি দামি গাড়ি ব্যবহার সংক্রান্ত এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অবশ্য তিনি কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেছেন। পদত্যাগকারীদের মধ্যে আছেন উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্যাচেস্লাভ শাপোভালভও। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তার মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের সৈন্যদের সরবরাহ করা খাবারের দাম বাড়িয়ে ধরেছিল। ৪ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সোমবার পুলিশ ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ভাসিল লোজিনস্কিকে আটক করেছে।

ইউক্রেনে দুর্নীতির ইতিহাস দীর্ঘ এবং ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রের তালিকায় ১৮০টি দেশের মধ্যে ইউক্রেনকে ১২২ নম্বরে স্থান দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ঘোষণা করেছেন, রুশ আক্রমণের প্রায় এক বছর পর তিনি তার সরকার এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন। কিয়েভ থেকে বিবিসি জানায়, ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতিতে জর্জরিত এবং পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সাহায্য ব্যবস্থাপনার স্বার্থে একে দুর্নীতিমুক্ত করে তোলা প্রয়োজন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, টিমোশেঙ্কো, যিনি আঞ্চলিক নীতির তত্ত্বাবধান করতেন এবং জেলেনস্কির নির্বাচনী প্রচারে কাজ করেছিলেন, তার সরে যাওয়াটা হয়তো রদবদলের একটা অংশ হতে পারে। এসব পরিবর্তন আসছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক অভিযানের মধ্যে। কারণ ইউক্রেনকে যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে হয়- তাহলে দুর্নীতি দমনের প্রশ্নে ইইউর অন্যতম প্রধান দাবি মেনে নিতে হবে। এর মধ্যেই ইউক্রেনের সরকার সব রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাকে ইউক্রেন ছেড়ে যেতে নিষেধ করেছে, একমাত্র অনুমোদিত সরকারি সফর বাদে।

এর মধ্যে গত রবিবার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘অতীতে যেমন ছিল, সরকারের ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন লোক যেভাবে জীবনযাপন করত- তাতে আর ফিরে যাওয়া হবে না।’ জেলেনস্কির সার্ভেন্ট অব দ্য পিপল পার্টির প্রধান ডেভিড আরাখামিয়াও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা কারাগারে যাবেন। ওদিকে ইউক্রেনীয় সংবাদপত্র ইউক্রেনস্কা প্রাভদার এক খবরে বলা হয়েছে, টিমোশেঙ্কোর পর সুমি, দনিপ্রো, জাপোরিঝঝিয়া এবং খেরসনের চার আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধানও হয়তো পদত্যাগ করতে পারেন।

সর্বশেষ খবর