মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পর ইউক্রেনকে হতাশ করল যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। রুশ বিমান হামলার মোকাবিলায় ভলোদিমির জেলোনস্কির দেশকে চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান দিতে সরাসরি না বলে দিয়েছেন সুনাক। সম্প্রতি ইউক্রেনকে আধুনিক ‘স্ট্রাইকার’ সাঁজোয়া গাড়ি এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের থেকে লেপার্ড-২ ট্যাংক পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে ইউক্রেন। এরপরই জেলোনস্কি পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে যুদ্ধবিমান চেয়ে বসে। কিন্তু এ ব্যাপারে আগেই না করে দিয়েছে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ জানাল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দফতরের মুখপাত্র মঙ্গলবার বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠানো সম্ভব নয়।’ সুনাক সরকারের এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলো চালানো শিখতেই কয়েক মাস সময় চলে যায়। তাই আমরা মনে করি এখনই ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত হবে না।’ তবে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ব্রিটেন তার সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সুনাক।
চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র : রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের চীন সফরে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি চীন সফর করবেন ব্লিনকেন। এই সফরে তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।