শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

আদানি নিয়ে গতকালও ভণ্ডুল ভারতের সংসদ

ছয় দিনে নেই ১২০ বিলিয়ন ডলার

আদানি নিয়ে গতকালও ভণ্ডুল ভারতের সংসদ

আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তদন্তের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো গতকালও বন্ধ হয়ে গেছে ভারতীয় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন। বিরোধী নেতাদের দাবি ও হট্টগোলের মুখে প্রথমে লোকসভা ও পরে রাজ্যসভা মুলতবি করা হয়। বিরোধীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত, অবিলম্বে আলোচনা ও উপযুক্ত তদন্তের দাবি মানা না হলে সংসদ চলতে দেওয়া হবে না।

এদিকে যে রকেটের মতো উত্থান হয়েছিল আদানি গ্রুপের। কিন্তু এখন শেয়ার বাজারে গ্রুপটির ধসও রকেট গতিতে ঘটছে। বৃহস্পতিবার তো আদানি গ্রুপের যে সাতটি সংস্থা শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে পাঁচটি সংস্থাই ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত আদানি গ্রুপের সাতটি সংস্থার মূলধন ১২০ বিলিয়ন ডলার কমে গিয়েছে। সেটাও হয়েছে মাত্র ছয় দিনে।

যুক্তরাষ্ট্রের হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারচুপি ও জালিয়াতির গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া ও শেয়ারবাজারে চরম পতনের এক সপ্তাহ পরও ভারত সরকার এখনো নীরব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন কিংবা শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক ‘সেবি’র চেয়ারম্যান কেউই একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। অথচ হিনডেনবার্গ রিপোর্ট পেশ হওয়ার পর থেকে লাগাতার ঘটে চলেছে আদানি গোষ্ঠীর সব সংস্থার শেয়ারের দরপতন।

এ অবস্থায় ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী সোমবার সারা দেশের সব রাজ্যে জীবনবীমা করপোরেশন (এলআইসি) ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার অফিসের বাইরে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগের তদন্তের নির্দেশের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এক জনস্বার্থ মামলাও করা হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, দেশের সাধারণ মানুষের সঞ্চয় পড়ে গেছে প্রবল ঝুঁকির মুখে।

কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ গতকাল বলেন, এলআইসি, স্টেট ব্যাংক ও অন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে আদানি গোষ্ঠীকে লগ্নিতে বাধ্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। একমাত্র নিরপেক্ষ তদন্তই এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোকে বাঁচাতে পারে, যেখানে কোটি কোটি ভারতবাসীর সঞ্চয় রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে গৌতম আদানির পরিচিতি আজকের নয়। অনেকের মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদী হাত তাঁর ওপর বলে অল্প সময়ে সবাইকে ছাপিয়ে তিনি বিশ্বের তৃতীয় ধনীর স্বীকৃতি পেয়েছেন। দেশের ২২টি রাজ্যে ব্যবসা করছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদিই আদানির স্রষ্টা।

সর্বশেষ খবর