বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অসংখ্য মানুষ

জীবিত উদ্ধার নিয়ে শঙ্কা

ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অসংখ্য মানুষ

স্বজনের মরদেহ নিয়ে আর্তনাদ -এএফপি

তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বিশ্লেষকরা উদ্ধার কাজে আরও গতি বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন। তবে সেখানে বাগড়া দিয়েছে প্রতিকূল আবহাওয়া। সিরিয়ার সরকারবিরোধী অংশের পরিচালিত বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান রাদ আল-সালাহ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া শত শত পরিবারকে রক্ষায় সময় ফুরিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন।

বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় হোয়াইট হেলমেটস নামে পরিচিত সংগঠনের উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য জরুরিভিত্তিতে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে সহায়তা প্রয়োজন, গতকাল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি এমনটাই বলেছেন।

সিরিয়ার অবস্থা খারাপ জানিয়ে রাদ আল-সালাহ বলেছেন, ‘প্রতিটা সেকেন্ড জীবন বাঁচানোর, আমরা প্রতিটি মানবিক সংস্থার প্রতি জরুরিভিত্তিতে এ বিপর্যয় মোকাবিলায় নামতে ও বস্তুগত সহায়তা দিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে ধুলোয় মিশে যাওয়া অবকাঠামো, যন্ত্রপাতির অভাব এবং প্রবল ঝড়-বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।

ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশ। সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এ এলাকায় ধ্বংসস্তূপ থেকে দুর্গতদের উদ্ধারের মতো পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই বলে ডয়চে ভেলেকে জানান স্থানীয় সাংবাদিক ওমর আলবাম। ইদলিবের প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তরে তুরস্কের সীমান্তবর্তী শহর সারমাদার এ সাংবাদিক জানান, শহরটি বলতে গেলে ধুলোয় মিশে গেছে।

সর্বশেষ খবর