মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস

ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতরের কিছু নথি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু নথি ‘অতি গোপনীয়’। রয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রের মানচিত্র, তালিকা ও ছবি। যুদ্ধে ইউক্রেনকে কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সহায়তা করতে পারে, তার বিস্তারিত কৌশল বোঝা যায় এসব নথি থেকে। বোঝা যায় যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এর প্রায় ১৪ মাস পর এসে প্রথমবারের মতো যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের কোনো নথি ফাঁসের ঘটনা ঘটল। টুইটার ও টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া এসব গোপন নথি অন্তত ছয় সপ্তাহ আগের। তবে সবচেয়ে সাম্প্রতিক নথিগুলোও ১ মার্চের। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের বরাতে সংবাদমাধ্যমের খবর, ফাঁস হওয়া এসব নথি আসল। অনলাইনে ফাঁস হওয়া এসব কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধের বিস্তারিত ধারাবাহিক টাইমলাইন এবং অসংখ্য দুর্ভেদ্য সামরিক সংক্ষিপ্ত শব্দসহ কাগজপত্র, যার ওপরে ‘অত্যন্ত গোপনীয়’ শব্দ লেখা রয়েছে। এসব তথ্য ফাঁস হলো এমন এক সময় যখন ইউক্রেন তাদের বহু প্রত্যাশিত বসন্তকালীন পাল্টা অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর কিছু কিছু কাগজপত্র ছয়মাস পর্যন্ত  পুরনো, কিন্তু এগুলোর বিশাল প্রভাব রয়েছে। পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, কাগজপত্রগুলো জাল নয়, আসল। এ রকম ২০টি নথি বিবিসির হাতে রয়েছে। ইউক্রেনের বাহিনীকে যেসব সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর বিশদ বর্ণনা রয়েছে এতে। সেই সঙ্গে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নতুন একটি আক্রমণ পরিচালনা করার জন্য ইউক্রেনের বেশ কিছু ব্রিগেডকে একত্রিত করার বর্ণনাও রয়েছে।

এসব নথিতে বলা হয়েছে, কখন এসব ব্রিগেড আক্রমণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে এবং সেগুলোর জন্য পশ্চিমা মিত্রদের দেওয়া ট্যাঙ্ক, আর্মড গাড়ি এবং কামানের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

নথিগুলোর একটি মানচিত্রে একটি এলাকাকে ‘কাদা-বরফে আচ্ছাদিত এলাকা’ বলা হয়েছে, যার মাধ্যমে বসন্ত এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব ইউক্রেনের স্থল পরিস্থিতি বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এসব নথিপত্র কারা ফাঁস করেছে এবং কেন? কীভাবে এসব নথিপত্র ডিসকর্ড নামের একটি ম্যাসেঞ্জিং অ্যাপ থেকে ফোরচ্যান হয়ে টেলিগ্রামে গিয়েছে, সেটা বর্ণনা করেছেন ইনভেস্টিগেটিভ ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ বেলিংক্যাটের এরিক টোলার। তিনি বলেছেন, ঠিক কোথা থেকে এসব তথ্য এসেছে, সেটা এখনো জানা যায়নি, তবে গেমারদের কাছে জনপ্রিয় একটি সাইটে গত মার্চ মাসে এসব নথিপত্র প্রকাশ করা হয়।

সর্বশেষ খবর