শিরোনাম
রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুত : জেলেনস্কি

ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুত : জেলেনস্কি

রাশিয়ার অধিকৃত অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধার করতে ইউক্রেন দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এমনটি বলেছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আমরা সফল হব,’ সাক্ষাৎকারে বলেছেন জেলেনস্কি। ‘আমি জানি না এতে কতদিন লাগবে। সত্যি বলতে, সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে এটি হতে পারে। কিন্তু আমরা এটি করতে যাচ্ছি আর আমরা প্রস্তুত।’ অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধারে একটি পাল্টা আক্রমণ যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি পাল্টে দেবে বলে আশা কিয়েভের। ১৫ মাস আগে রাশিয়া প্রতিবেশী দেশটিতে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে যুদ্ধ এখন অনেক তীব্র হয়ে উঠেছে। গত মাসে জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, পাল্টা আক্রমণ শুরু করার আগে পশ্চিমা সাঁজোয়া যানের জন্য ইউক্রেনকে অপেক্ষা করতে হবে। পশ্চিমাদের কাছ থেকে ধারাবাহিক সমর্থন পাওয়ার পাশাপাশি আরও সামরিক সহায়তা ও অস্ত্র পাওয়ার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে গেছেন তিনি। পরিকল্পনা সফল করার জন্য পশ্চিমা এসব অস্ত্র ইউক্রেনের মূল চাবিকাঠি। রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্ব, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের বিশাল অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ইউক্রেনের কয়েকটি অংশে শুষ্ক আবহাওয়ার দীর্ঘ ব্যাপ্তিতে এমন ধারণা করা হচ্ছে যে, পাল্টা আক্রমণ সম্ভবত আসন্ন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেন রাশিয়ার অস্ত্রাগার ও সরবরাহ রুটে হামলা বৃদ্ধি করেছে। শনিবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী তাদের দৈনিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলের মারিঙ্কা তাদের লড়াইয়ের মূল ফোকাস। সেখানে ইউক্রেন বাহিনী রাশিয়ার সেনাদের ১৪টি আক্রমণের সব প্রতিহত করেছে বলে প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে।

এদিকে রাশিয়ার আগ্রাসন শেষ হওয়ার আগে কিয়েভ ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গত শুক্রবার এ তথ্য জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘অতএব আমরা উপলব্ধি করেছি, এই যুদ্ধকালীন সময়ে আমরা ন্যাটোর সদস্য হব না। আমরা এটি চাই না বলে নয়, বরং তা অসম্ভব বলেই।’ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে আরও শক্তিশালী করেছে। সোভিয়েত ইউনিয়নকে মোকাবিলা করার জন্য প্রায় ৭৫ বছর আগে জোটটি গঠন করা হয়। কিন্তু এ সামরিক জোটের সদস্যরা ইউক্রেন প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে।

এদিকে ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, জোটটির সব সদস্য দেশ ২০০৮ সালের একটি অঙ্গীকার মেনে চলতে সম্মত হয় যে, ইউক্রেন কোনো অনির্ধারিত সময়ে সদস্যপদ পাবে। এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যালার কারিসের সঙ্গে এক ব্রিফিংকালে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এবং বুঝতে পারি যে, আমরা একক কোনো ন্যাটো দেশকে যুদ্ধে টেনে আনতে যাচ্ছি না।’

সর্বশেষ খবর