পাকিস্তানের অষ্টম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন স্বল্পপরিচিত সিনেটর আনোয়ারুল হক কাকার। সব দল তাকে বেছে নেওয়াকে বিস্ময়কর বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। বেলুচিস্তানের এ সিনেটরের নাম প্রস্তাব করেন বিদায়ী বিরোধী দলীয় নেতা রাজা রিয়াজ। বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) সিনেটর এ আনোয়ারুল হক কাকার। আর তার এ নিয়োগ নিয়ে পুরো পাকিস্তানে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনার পরপরই আলোচনায় উঠে এসেছেন কাকার। কীভাবে একজন স্বল্প পরিচিত সিনেটর ক্ষমতাসীন সরকার এবং একইসঙ্গে বিরোধী দলের আস্থা অর্জন করলেন, তা আলোচনার কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে এটিই প্রতীয়মান হলো যে, বেলুচিস্তানের বিএপির দেশ চালানোর সক্ষমতা রয়েছে। বিদায়ী ক্ষমতাসীন জোটের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যম ডনকে বলেছেন, ‘কাকারকে মনোনীত করা ক্ষমতাসীন জোটের অনেকের জন্যই ছিল একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। এমনকি যারা কাকারের মনোনয়নের সারসংক্ষেপে স্বাক্ষর করেছেন, তারাও তার (কাকারের) নাম সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।’
তত্ত্বাবধায়কের আসনে ক্ষমতাসীনদের লোক বসানোর ক্ষেত্রে শরিফ সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাকারের নাম অন্য কোথাও থেকে এসেছে; আর এটি জোটের সব শরিকের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
একই রকম মন্তব্য করেছেন পিপিপি নেতা সৈয়দ খুরশীদ শাহ। তিনি বলেছেন, কাকার যে অন্তর্র্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা কেউই জানত না।
তাকে বেছে নেওয়ার ফলে সব মহল থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। এতেই পরিষ্কার হয়েছে যে, সব রাজনৈতিক দলের কাছে তিনি গ্রহণযোগ্য এবং তার মনোনয়ন একটি সারপ্রাইজ। উপরন্তু কাকারের দল বিএপির ওপর দেশের এস্টাবলিশমেন্ট বা সামরিক মহলের আশীর্বাদ আছে বলে মনে করা হয়। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দুই দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গেও আছে তার সুসম্পর্ক। তার প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের সুপরিচিত সাংবাদিক হামিদ মীরও।