গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪৪০ জন। এ নিয়ে গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে অব্যাহত ইসরায়েলি হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৬০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়টি আরও জানিয়েছে, এর আগের কিছু হামলায় ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের আগে নিহত হিসেবে গণনা করা হয়নি। এদিকে চলতি বছরের মার্চে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর থেকে ইসরায়েল ৪ হাজার ৩৩৫ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজায় এ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৪১ জন আহত হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস তাদের মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ এরও বেশি আপডেট করেছে। জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষ মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত মার্কিন-সমর্থিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের ধারেকাছে না যাওয়ার জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে।
তাদের ভাষ্যে, ‘সংস্কার, পুনর্গঠন এবং দক্ষতা উন্নয়নের কাজের’ জন্য এ কেন্দ্র পুরো এক দিনের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতি ও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাবের ওপর ভোট দিতে চলেছে। তবে এতেও যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মূলত নিহতের এই নতুন পরিসংখ্যান ও ত্রাণসহায়তাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহতা আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।