যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে আরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা করছে, যা চলতি মাসের শুরুতে ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার বড়সড় সম্প্রসারণ হতে পারে। অর্থাৎ এসব দেশের মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারবে না। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের স্মারকলিপির উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এ খবর জানিয়েছে। তবে এসব শর্ত পূরণ না করলে কখন থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। যেসব দেশের নাম রয়েছে- অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, বেনিন, ভুটান, বুরকিনা ফাসো, কাবো ভার্দে, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, কঙ্গো (ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক), জিবুতি, ডোমিনিকা, ইথিওপিয়া, মিসর, গ্যাবন, গাম্বিয়া, ঘানা, আইভরি কোস্ট, কিরঘিজস্তান, লাইবেরিয়া, মালাউই, মৌরিতানিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সাও টোম ও প্রিন্সিপে, সেনেগাল, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া, তাঞ্জানিয়া, টোঙ্গা, টুভালু, উগান্ডা, বনুয়াতু, জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ে। এই তালিকা ৪ জুন জারিকৃত একটি প্রেসিডেনশিয়াল ঘোষণার বড় পরিসরের সম্প্রসারণ, যার অধীনে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো (রিপাবলিক), ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়।-এএফপি
একই ঘোষণার অধীনে বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলার ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের এই ধরনের উদ্যোগকে বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা ও সমালোচকরা জাতিগত বৈষম্যমূলক ও বিদেশিবিদ্বেষী বলে আখ্যা দিয়েছেন।