ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও বর্বরতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে কলকাতার মানবতাবাদী মানুষ। তারা গতকাল ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে নিয়ে কয়েক কিলোমিটার পথ ধরে বিক্ষোভ করেন। তাদের কণ্ঠে ছিল ইসরায়েলি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ধিক্কার। রাজপথে এই মহামিছিলের ডাক দিয়েছিল বামফ্রন্ট। মিছিলে সিপিআইএম, সিপিআই, সিপিআইএমএল, অল ইন্ডিয়া ফরোয়ার্ড ব্লক, আরএসপিসহ অন্য বামপন্থি দলগুলোর সদস্যরা অংশ নেন। কলকাতার রবীন্দ্রসদন থেকে ধর্মতলার লেনিন মূর্তি পর্যন্ত এই মহামিছিলে বামফ্রন্টের শরিক দলগুলোর কর্মী-সমর্থকরা ছাড়াও যোগ দেয় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বহু মানুষ। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবিসংবলিত বক্সিং পাঞ্চিং ব্যাগে ঘুসি মেরে, পা দিয়ে মাড়িয়ে, লাথি মেরে ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটান। একই সঙ্গে তারা হাজার হাজার বেলুনে তাদের ছবি লাগিয়ে পায়ের তলায় সেই বেলুন ফাটিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন। মিছিল থেকে গ্রেটা থুনবার্গসহ আন্তর্জাতিক পরিবেশবিদ, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি, গাজায় গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে মার্কিন মদতপুষ্ট যুদ্ধাপরাধী ইসরায়েলকেক ধিক্কার জানানো হয়। মহামিছিলে উপস্থিত সিনিয়র সিপিআই(এম) নেতা এবং বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, গাজামুখী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামে পরিচিত ত্রাণ বহনকারী নৌবহর আটকানো হয়েছে। জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওরা (ইসরায়েল) কোনো আন্তর্জাতিক আইনও মানছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ১৪০টি দেশ সমর্থন করা সত্ত্বেও ইসরায়েল এসবে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তিনি উল্লেখ করেন, গাজায় যেভাবে অমানবিক ও বর্বরোচিত কার্যকলাপ চলছে, তার প্রতিবাদ করে সব জায়গায় মিছিল করা উচিত।