আগের থেকে কিছুটা ভাল আছেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সিনিয়র সিপিআইএম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
শনিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার উডল্যান্ডস নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এক মেডিকেল বুলেটিন প্রকাশ করে হাসপাতালের ডেপুটি মেডিকেল সুপার ডা. সপ্তর্ষি বসু জানান, ‘গতকাল (শুক্রবার) যে অবস্থায় এসেছেন, তার থেকে আজ অনেকটাই ভাল। আইসিইউতে তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার চিকিৎসায় সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ডই সাবেক মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে। মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন ডা. কৌশিক চক্রবর্তী, সৌতিক পান্ডা, ফুয়াদ হালিম, সুনীল বরণ রায়, সোমনাথ মাইতি, কল্যাণ বসু এবং এ জি ঘোষাল।’
তিনি আরও জানান, ‘রক্তস্বল্পতার কারণে শুক্রবার রাতে এক ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেও আরেক ব্যাগ রক্ত চলছিল।’
সপ্তর্ষি বসু জানান ‘রাতে বিক্ষিপ্ত ঘুম হয়েছে তার। হাল্কা খাওয়ার খেয়েছেন। কথা বলতেও পারছেন, বুঝতেও পারছেন। তার রক্তচাপও স্বাভাবিক রয়েছে। বুকের এক্সরে করা হয়েছে। ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং তার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক চলছে। সব মিলিয়ে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।’
যদিও তিনি আর হাসপাতালে আর থাকতে চাইছেন না, বাড়ি ফিরে যেতে চাইছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের কাছে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু চিকিৎসক ও সিপিআইএম দলের তরফে শীর্ষ নেতারা বুদ্ধদেবকে বোঝান যে তার শারীরিক অবস্থা বাড়ি যাওয়ার পক্ষে অনুকূল নয়। তাকে যে কেবিনে রাখা হয়েছে সেই কেবিনের মধ্যে বাইরে থেকে কোন ব্যক্তি যাতে প্রবেশ করতে না পারে তা দেখতে কেবিনের বাইরে প্রহরীর ব্যবস্থা করাও হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে হঠাৎ কলকাতার পাম এভিনিউয়ের বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শুরু হয় প্রবল শ্বাসকষ্ট। এরপরই স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য স্থানীয় সময় রাত ৮.৪০ মিনিট নাগাদ তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার অসুস্থতার খবর শুনে রাতেই হাসপাতালে ছুটে আসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার, সিপিআইএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, রবীন দেব, কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/কালাম