ভারতের পশ্চিমবঙ্গে লকডাউনের মধ্যে দুই সহস্রাধিক লোক জড়ো করে মিছিলের চেষ্টা করছিল বিজেপি। হঠাৎ পর পর তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় লোকজন। পরে বিজেপি-তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
বিজেপির অভিযোগ, মিছিল বানচাল করতে তৃণমূলই বোমাবাজি করেছে, মারধর পাকিয়েছে। সে কথা মানেননি তৃণমূল। তাদের দাবি, নিজেরাই বোমাবাজি করে নাটক করছে বিজেপি।
শনিবার ঘটনাস্থল ভাটপাড়ার শ্যামনগর পাওয়ার হাউস মোড়। তৃণমূল নেতা সোমনাথ শ্যামের অভিযোগ, “ভাটপাড়ার মানুষ অর্জুন সিংহের সঙ্গে নেই। নিজেরা বোমাবাজি করে নাটক করছে ওরা।’’ লকডাউন ভেঙে এত লোক জড়ো করায় বিজেপির সমালোচনা করেন সোমনাথ।
ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ পাল্টা বলেন, ‘‘তৃণমূল লকডাউনে মিছিল করলে আমরাও পাল্টা মিছিল করব।’’
কয়েক দিন আগে তৃণমূলের এক যুব নেতা ভাটপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হন। তার পর থেকে ফের উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। ঘটনার পর দিন তৃণমূল ভাটপাড়া আর্যসমাজ মোড়ে একটি মিছিল করে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিএসপি অজয় ঠাকুর বলেন, “বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। তৃণমূলের এক নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন বলে তারা একটা ছোট মিছিল করেছিল। সেই মিছিলও আটকে দেওয়া হয়েছিল। বিজেপিকেও এ দিন মিছিল করতে বারণ করা হয়েছিল।’’
এ দিন বোমাবাজির পরে তৃণমূলের লোকজন বিজেপি কর্মীদের উপরে চড়াও হয়ে মারধর করেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। সে কথা মানেনি তৃণমূল। সোমনাথ বলেন, ‘‘ওরাই রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষকে পিটিয়েছে।”
বোমাবাজি, মারধরের অভিযোগ তুলে বিকেলে নৈহাটি, বাসুদেবপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করে বিজেপি। মেঘনা জুটমিল থেকে মিছিল শুরু হয়। ভাটপাড়া থানার আগের মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয়। সেখানেই মিছিল শেষ করে পথসভা করে বিজেপি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন