১২ জানুয়ারি, ২০২১ ১১:১৮

সালিশে ছাত্রীকে বিয়ে করার চাপ দেওয়ায় শিক্ষকের আত্মহত্যা!

অনলাইন ডেস্ক

সালিশে ছাত্রীকে বিয়ে করার চাপ দেওয়ায় শিক্ষকের আত্মহত্যা!

প্রতীকী ছবি

সালিশে ছাত্রীকে বিয়ে করার চাপ দেওয়া হয়। জোর করে আয়োজন করা হয় বিয়ের অনুষ্ঠানেরও। তবে অপমান সহ্য করতে পারেননি শিক্ষক।মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। এরপর রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় তার দেহ। পরিবারের দাবি, লজ্জায়, অপমানে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে দফায় দফায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।

ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের গাইসলের ধনতলায় একটি কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন বছর তেইশের মুজ্জাকির ইসলাম। অভিযোগ, সপ্তাহখানেক আগে ওই কোচিং সেন্টারে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী ওই শিক্ষকের ঘাড়ে হাত দেওয়া অবস্থায় ভিডিও রেকর্ডিং করে। এরপর ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য শিক্ষকের উপর চাপ তৈরি করা হয়। কিন্তু বিয়েতে রাজি হননি শিক্ষক। তার জেরে ধনতলার কোচিং সেন্টারে ভাঙচুর করে কম্পিউটারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষক। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার গাইসল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তৃণমূলের  সাব্বির আহমেদের উদ্যোগে সালিশি সভা বসে। উপস্থিতি ছিলেন ওই পঞ্চায়েতের সদস্য মহম্মদ কাইজার আলমসহ জেলা পরিষদের সহকারী সভাপতি ফারহাত বানুর স্বামী তথা তৃণমূল নেতা জাভেদ আখতার এবং পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য জাফরুল ইসলাম।

সালিশি সভায় ওই শিক্ষককে বিয়ে করার দিনক্ষণ ঠিক করে দেওয়া হয়। রবিবার ওই ছাত্রীর বিয়ের আয়োজনও করা হয়। তবে বিয়ে করতে যাননি শিক্ষক। বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে গাইসোল রেললাইন থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়। 

মৃতের মামা হাসালুন হকের অভিযোগ, “জোর করে প্রধান ও তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য ভাগ্নেকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ভিডিও ভাইরাল করে বিয়ে করতে চাপ দেয়। সেটা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে সে।” 

মৃতের বাবা দবিরুল ইসলামপুরের অভিযোগ, ‘আমার ছেলেকে ফাঁসিয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছিল। সেটা সহ্য করতে না পেরে অপমানিত হয়ে, রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। দোষীদের শাস্তি চাই।’ 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর