ভারতের রাজস্থানের আজমির শরিফে খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগায় চাদর চড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যটির ক্ষমতাশীন দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা ব্যানার্জি। মঙ্গলবার দুপুরে আজমির শরিফে যান মমতা। এসময় তার সাথে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং দলের লোকসভার সংসদ সদস্য অপরূপা পোদ্দারসহ অন্যরা।
মমতার এই সফরকে ঘিরে আজমির শরিফে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছিল। মমতা যখন আজমির শরিফে পা রাখেন তখন তাকে স্বাগত জানান দরগা কর্তৃপক্ষ। তাকে দেখতে তখন দরগা চত্বরে অসংখ্য ভক্তদের ভিড় হয়। অনেকেই তখন 'দিদি-দিদি' বলে চিৎকার করতে থাকেন। মমতাও তাদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়িয়ে অভিবাদন গ্রহণ করেন। এসময় নিরাপত্তা কর্মীরা রীতিমতো মানববন্ধন করে তাকে ভিতরে প্রবেশ করান।
রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে আজমির। শহরের ঠিক মাঝখানে পাঁচিল ঘেরা দরগায় রয়েছে সুফি সাধক মইনুদ্দিন চিশতির মার্বেল মোড়া সমাধি। আর এই সমাধিতে চাদর চড়াতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, শীর্ষ রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক থেকে শুরু করে সেলিব্রিটিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এবং সাধারণ মানুষ ভিড় জমান চিশতির দরগায়।
শুধু মুসলিমরাই নয়, হিন্দুসহ অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষও প্রার্থনা জানাতে আসেন এখানে। সমাধির সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের মনস্কামনা পূরণ করার দোয়া চান।
উল্লেখ্য, চার দিনের সফরে সোমবার দুপুরে দিল্লী যান মমতা। ওই দিন বিকালেই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা জি-২০ (G-20)-এর প্রস্তুতি বৈঠকে অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে মমতাও উপস্থিত ছিলেন।
আজমির শরিফ থেকে পুষ্কর নামক জায়গায় ব্রহ্মা মন্দির পরিদর্শনে যাওয়ার কথা মমতার, ওই মন্দিরে পূজা দেবেন তিনি। পুষ্কর হিন্দুদের অন্যতম তীর্থস্থান বলে পরিচিত। কথিত আছে যে, চার ধামের যাত্রা করার পর পুষ্কর হ্রদে গোসল না করা পর্যন্ত এই যাত্রা সফল হয় না এবং এর পুণ্যলাভ হয় না।
ব্রহ্মা মন্দিরে পূজা দেওয়ার পর এদিন রাতেই ফের দিল্লিতে ফিরে আসবেন মমতা ব্যানার্জী। বুধবার দলের সমস্ত সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করবেন তৃণমূল প্রধান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল