একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ডে গাড়ি পোড়ানোর দুই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। গতকাল নির্ধারিত দিনে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা দুটি অধিকতর তদন্তের আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত মামলা দুটি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন এবং আদালত অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর সময় নির্ধারণ করেন। চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ একেএম নাসিরউদ্দিন মাহমুদ এসব আদেশ দিয়েছেন। চট্টগ্রামের জেলা পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, গাড়ি পোড়ানোর দুটি মামলার অধিকতর তদন্তের ওপর শুনানি হয়েছে। বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষে অধিকতর তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছিল। আদালত এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন এবং ১০ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তবে রাষ্ট্রপক্ষে অধিকতর তদন্তের আবেদন ছাড়া ?আসামিপক্ষ ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪১ ধারায় মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদনও জমা দিয়েছিলেন। তবে সেটির শুনানি হয়নি। গতকাল সকাল সোয়া ১০টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাকে কারাগারে ফেরত নেওয়া হয়। এতে আদালত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আট প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয় বলে জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ। এর আগে মামলা দুটির অভিযোগ গঠনের শুনানিতে হাজির করানোর জন্য মঙ্গলবার রাতে তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়। বুধবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করার সময় সাকা চৌধুরী ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল। আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর পল্টনে খালেদা জিয়াকে জনসভার অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদে এবং সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে গ্রেফতারের গুজব তুলে ২০১০ সালের ৭ নভেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া এবং সলিমপুর এলাকায় পৃথক দুই জায়গায় গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বাঁশবাড়িয়া থেকে তিনজন এবং সলিমপুর থেকে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পৃথক ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানার এসআই গোলাম ফারুক ভূঁইয়া বাদী হয়ে ওই দিনই দুটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে জানান, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্দেশে তারা গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছিল। মামলা দুটি তদন্ত শেষে পুলিশ দুটি মামলাতেই সাকা চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে বাঁশবাড়িয়ার ঘটনার মামলায় ১১ জন এবং সলিমপুরের মামলায় ৭ জনকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীর নাম থাকলেও অভিযোগপত্রে তা বাদ দেওয়া হয়। এ কারণে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি ২০১১ সালে এ অভিযোগপত্রের ওপর নারাজি দেন। এর আগে ১৫ জুন অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
শিরোনাম
- লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
- স্বর্ণের দাম কমেছে
- সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ
- নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
- ভাড়া নিয়ে শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, দুই শতাধিক বাস ভাঙচুর
- সিংড়ায় শীতের আগমনে লেপ–তোষকের দোকানে ভিড়
- মিরপুরে বিআরটিএ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ
- ‘আগামী নির্বাচনে নোয়াখালীর ৬টি আসন বিএনপিকে উপহার দেওয়া হবে’
- হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন
- সোনারগাঁয়ে তাঁতী দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
- ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ জাবিতে রাত ১০টার পর যেকোনো অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ
- ‘ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেশকে রক্ষা করুন’
- মোংলায় জামায়াতে ইসলামীর ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- কাতারের মধ্যস্থতায় শান্তিচুক্তির পথে কঙ্গো ও এম২৩ বিদ্রোহীরা
- বিশ্বনাথে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেলেন দুই সহস্রাধিক মানুষ
- বারী সিদ্দিকীর জন্মদিনে কেক কাটলেন হিমু পাঠক আড্ডার সদস্যরা
- তফসিলের আগে লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে সরকার
- দিনাজপুরে জামায়াত প্রার্থীর মোটরসাইকেল র্যালি
- সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো আজও পুনর্নির্মাণ হয়নি
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ