শিরোনাম
শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বাড্ডায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাড্ডায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জহিরুল ইসলাম বিজয় ওরফে কুত্তা জহির (৩২) নামে একজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় বন্দুক ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করেছে র‌্যাব। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তি এলাকায় চি?িহ্নত সন্ত্রাসী। বন্দুকযুদ্ধের সময় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, বৃহস্পতিবার গভীররাতে মধ্যবাড্ডার ১০০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন সান ভ্যালি আবাসন প্রকল্প এলাকায় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে, এমন তথ্যের  ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব। র‌্যাবের অবস্থান টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে। তিনি আরও বলেন, নিজ ও সরকারি জানমাল রক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালালে পিছু হটে সন্ত্রাসীরা। এতে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুক্ষুটিয়ে পড়ে ও বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে আহত যুক্ষুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বন্দুকযুদ্ধের সময় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। বুলেট প্রুফ জ্যাকেট থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। জহিরুলের বাবার নাম মালেক আলী। আনন্দনগরে ভাড়া বাসায় তিনি থাকতেন। র‌্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, জহিরুলের বিরুদ্ধে বাড্ডা এলাকায় সন্ত্রাসী, হত্যা, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। জহিরের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে চাঁদার দাবিতে হাসমত নামে এক ব্যক্তির পায়ে গুলি করার অভিযোগ রয়েছে। বাড্ডা এলাকায় তাকে সবাই কুত্তা জহির নামে চিনত। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশি তৈরি বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাব সূত্র জানায়, নিহত জহিরের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা, তিনটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২০০৫ সালে রামপুরার চাঞ্চল্যকর মাস্টার সোহেল হত্যা মামলার আসামি ছিলেন জহির। ২০০১ সালের রামপুরার আবুল হোটেলের সামনে থেকে পুলিশ জহিরকে তিনটি পিস্তলসহ গ্রেফতার করেছিল। ২০০৭ সালে বাড্ডা এলাকার ইজারাদার শাকুরকে প্রকাশ্যে গুলি করেছিলেন জহির। র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, জহিরের অস্ত্র বিভিন্ন সময় অন্য সন্ত্রাসীরা ভাড়া নিত। বাড্ডা এলাকা থেকে বিভিন্ন সময় পাঁচটি অস্ত্রসহ গ্রেফতার মনির এবং ইমন গ্রেফতার হয়েছিল। সে সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতারকৃতরা বলেছিল অস্ত্রগুলোর প্রকৃত মালিক জহির।

সর্বশেষ খবর