মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

চিতা বিড়ালের পেটে কুমিরের ১৯ বাচ্চা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

চিতা বিড়ালের পেটে কুমিরের ১৯ বাচ্চা

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আবারও মারা পড়েছে ১৯টি কুমিরের বাচ্চা। শনিবার ও রবিবার রাতে প্রজনন কেন্দ্রের প্যানে  (কৃত্রিম পুকুর) হানা দিয়ে এসব কুমিরের বাচ্চা খেয়ে ফেলে সুন্দরবনের মাংসভোজী কোনো হিংস  প্রাণী। গত দুই দিনে কুমিরের ওই ১৯ বাচ্চার খণ্ডিত দেহাবশেষ উদ্ধার করেছেন প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে শনিবার রাতে ১৯ কুমিরের বাচ্চা খেয়ে ফেলে পার পেয়ে গেলেও রবিবার রাতে আবারও প্যানে কুমিরের বাচ্চা খেতে এসে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ে ধরা পড়ে গুলিতে মারা গেল চিতা বিড়াল (লেপার্ট ক্যাট)। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে ৪৩টি কুমিরের বাচ্চা চুরি ও হিংস  প্রাণীর আক্রমণে মারা গেল আরও ১৯টি কুমিরের বাচ্চা। সুন্দরবন বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রজনন কেন্দ্রের দুটি প্যান থেকে ৪৩টি কুমিরের বাচ্চা পাচার বা চুরির ঘটনা ঘটে। এ সময় পাচারকারীরা ৪৩টি কুমিরের বাচ্চার মধ্যে ৯টিকে মেরে পরিকল্পিতভাবে ফেলে রেখে যায়। ওই চুরির ঘটনায় জড়িত থাকায় করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের বনকর্মী (লস্কর) মাহাবুব হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত ও জাকির হোসেন নামে এক অস্থায়ী কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ব্যাপারে প্রজনন কেন্দ্রের এ দুজনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত পাচারকারীদের নামে দাকোপ থানায় মামলা করা হয়। কুমিরের বাচ্চা পাচারের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমিরের বাচ্চাগুলোর প্যানে শনিবার দিবাগত রাতে হানা দেয় মাংসভোজী হিংস  প্রাণী। মেরে ফেলে ১৯টি কুমিরের বাচ্চা। আবারও কুমিরের বাচ্চা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে করমজলে ছুটে আসেন সুুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম। সাধারণ ডায়েরি করা হয় দাকোপ থানায়। ১৯টি কুমিরের বাচ্চা মারা যাওয়ার বিষয়টি নাশকতা বা অন্য কিছু কিনা তা জানতে প্যানগুলোর নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি ক্যামেরা ট্র্যাপিং করা হয়। রবিবার রাতে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ে ধরা পড়ে মাংসভোজী এক হিংস  প্রাণী চিতা বিড়াল। সঙ্গে সঙ্গেই গুলি করে মেরে ফেলা হয় চিতা বিড়ালটিকে।

সর্বশেষ খবর