শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

মধ্যরাতে রাবির হলে ছাত্রলীগের গোলাগুলি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

দলীয় কর্মীকে মারধরের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার আবদুস সালাম লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী। মারধরকারী সাদ্দাম হোসাইন রাবি ছাত্রলীগের গত কমিটির সহ-সম্পাদক এবং বর্তমান সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী। মারধরের প্রতিবাদে হল ফটকে তালা লাগিয়ে সাদ্দাম হোসাইনসহ হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের     অবরুদ্ধ করে রাখে বাকির অনুসারীরা। এ ঘটনার জের ধরে গভীর রাতে ওই হলে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, মাদার বখ্শ হলে রাজনৈতিক ব্লক করার বিষয়ে আলোচনা করতে সাদ্দাম হোসাইন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে রাত ১১টার দিকে মাদার বখ্শ হলের অতিথি কক্ষে আলোচনায় বসেন। এ সময় তারা ২১১ নম্বর কক্ষের ছাত্রলীগ কর্মী আবদুস সালামকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। রাবি শাখার সভাপতি ও সম্পাদকের মোবাইল নম্বর না থাকায় সভাপতির অনুসারী সাদ্দাম একপর্যায়ে বাকির অনুসারী সালামকে মারধর করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হল গেটে তালা ঝুলিয়ে ৩৫-৪০ জন নেতা-কর্মী নিয়ে অবস্থান নেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য সাকিবুল হাসান বাকি। সেখানে বহিরাগত কয়েকজনকেও দেখা যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে অন্য আবাসিক হলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১২টার দিকে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা বাকি বিষয়টি মানতে নারাজ। একপর্যায়ে বাকি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের আশ্বাসে শান্ত হন। কিছুক্ষণ পর তৃতীয় ব্লক থেকে পরপর দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতা-কর্মীরা হলে অবস্থান করছিলেন। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে সভাপতির অনুসারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, সে (সালাম) যার সঙ্গে ছাত্রলীগ করুক, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নম্বর রাখা উচিত। সেটা তার কাছে নেই, এ জন্য ‘খুব বকাঝকা’ করা হয়েছে। জানতে চাইলে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, হল নেতাদের সঙ্গে বাকির একজন ছোট ভাইয়ের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। জানতে পেরে আমি ও সাধারণ সম্পাদক রুনুসহ অন্যরা গিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করেছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। তবে মীমাংসা হয়নি দাবি করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, শুধু আমার সঙ্গে রাজনীতি করায় সালামকে মারধর করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান লিটনের আশ্বাসে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা শান্ত হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর