কুমিল্লায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ডাকাতদলের গুলিবিনিময়ের ঘটনায় রাসেল ও ফারুক নামে দুই ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত রাসেল জেলার দেবীদ্বার উপজেলার ছেঁচড়াপুকুরিয়া গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে এবং ফারুক একই উপজেলার কুরুইন গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে। এ সময় ডিবি পুলিশের এসআই নজরুলসহ পাঁচজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। গতকাল ভোররাতে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের জেলার দেবীদ্বার উপজেলার হাতিমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবি কুমিল্লার ওসি মনজুর আলম। ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, দেবীদ্বার উপজেলার হাতিমারা এলাকায় ১০-১৫ জনের একটি ডাকাতদল রাত সাড়ে ৩টার দিকে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ডিবির একটি দল সেখানে পৌঁছায়। এ সময় ডাকাতদল ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে ডাকাতদলের সদস্য ফারুক (২৪) ও রাসেল (২৮) এবং এসআই নজরুল ইসলামসহ পাঁচজন ডিবি সদস্য আহত হন। আহত ডাকাত সদস্যদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ জানান, নিহতরা আন্তজেলা ডাকাতদলের সদস্য। ডাকাতদলটি ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত গভীর রাতে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শাহ আলমের দেবীদ্বারের জাফরগঞ্জ গ্রামের বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে তার ভাই জহিরুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছিল। এ ছাড়া এ দলটি আরও কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত। এদিকে দুই ডাকাত নিহতের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারের সম্মেলনকক্ষে প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে।
