সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

সাজা বাড়ল দ্রুত বিচার আইনে

নিজস্ব প্রতিবেদক

যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ক্ষতিসাধন, সম্পত্তি বিনষ্ট, ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির শাস্তি বাড়িয়ে দ্রুত বিচার আইনের সংশোধনী বিল পাস করেছে সংসদ।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে গতকালের বৈঠকে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন-২০১৮’ বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। ২০০২ সালে প্রণীত বিলটি ২০১৪ সালে সংশোধীত হয়। বিদ্যমান সে আইনের ৪ ধারায় নতুন সংশোধনী এনে অপরাধের শাস্তি পাঁচ বছরের পরিবর্তে সাত বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত পাঁচ বছরের পরিবর্তে সাত বছর  শব্দগুলো প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ৮ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সরকার বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটকে উক্ত আদালতের বিচারক নিযুক্ত করবে শীর্ষক নতুন (২) উপ-ধারা প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে, চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাকালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র ক্রয়-বিক্রয় গ্রহণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১১ নং আইন) প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল। উক্ত আইনে শাস্তির পরিমাণ কম থাকায় আইনটি সময়োপযোগী করা এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে এ আইনে নির্ধারিত শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

গাজীপুর ও রংপুর মহানগর পুলিশ বিল : এ ছাড়া গতকাল সংসদে ‘গাজীপুর মহানগরী পুলিশ আইন-২০১৮’ ও ‘রংপুর মহানগরী পুলিশ আইন-২০১৮’ নামের দুটি বিল উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এসব মহানগরীর জন্য স্বতন্ত্র পুলিশ বাহিনী গঠন ও তা পরিচালনার জন্য বিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে পৃথকভাবে দুটি বিল উত্থাপন করা হয়। পরে বিল দুটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ খবর