মঙ্গলবার, ১০ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভাঙনে দিশাহারা মানুষ

যমুনার পানি বৃদ্ধিতে দুশ্চিন্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া ও লালমনিরহাট প্রতিনিধি

ভাঙনে দিশাহারা মানুষ

তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কমলেও বেড়েছে ভাঙনের প্রকোপ। তিন দিনে এ দুই নদীর ভাঙনে অন্তত ৫০টি ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও পানিবন্দী পরিবারগুলোর মাঝে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত নানা রোগব্যাধি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যার পানির তীব্র স্রোতে তিন দিনে তিস্তা ও ধরলার ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন নদীপাড়ের মানুষ। তিস্তার ভাঙনে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউপির কয়েক গ্রামে ২৮টি ঘরবাড়ি ও ধরলার ভাঙনে সদরের কুলাঘাট ও মোগলহাট গ্রামের ২১টি ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। এখনো জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত ছিটমহল আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নের চর এলাকার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। এ ছাড়া চর এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহী রোগ। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী জানান, ভাঙন কবলিতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হলেও নতুন নতুন স্পার বাঁধ, স্কুলসহ বেশকিছু ঘরবাড়ি ভাঙনের মুখে রয়েছে। জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য ৩ মেট্রিক টন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। এরই মধ্যে আদিতমারী ও হাতীবান্ধায় ১৮ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ‘বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ভাঙন বেড়েছে’ বলে তিনি স্বীকার করেন। বগুড়ায় শঙ্কা : যমুনা নদীর পাড়ের মানুষ বন্যায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। গত বছর একই সময়ে পানিবন্দী হয়েছিল প্রায় দেড় লাখ পরিবার।

চলতি জুলাই মাসে বগুড়ার বাঙালি, করতোয়া ও জেলার প্রধান নদী যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এরই মধ্যে সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্ণিবাড়ি, চন্দনবাইশা, চরবাটিয়া, ধলিরকান্দি এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে। এলাকার বাসিন্দারা উঁচুস্থানে বসবাস শুরু করেছে। এ ছাড়া ধুনটের গোসাইবাড়ি, শহরা বাঁধ, সোনাতলা উপজেলার তেকানী চুকাইনগর ও মধুপুরের বাসিন্দারাও বন্যার আতঙ্কে রয়েছেন। ধুনট উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল জানান, অব্যাহত পানি বাড়ায় যমুনা পাড়ের মানুষের মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর