রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভোটের হাওয়া সারাদেশে

চট্টগ্রামে প্রার্থীদের নানা দাবি

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের শঙ্কা করছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। তাই নির্বাচনের আগে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অবৈধ এসব অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের তিন হাজার অবৈধ অস্ত্রধারীর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। শিগগির অবৈধ এসব অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করবে তারা। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, সংঘাতমুক্ত নির্বাচন করতে যা যা করতে হয় সব কিছুর জন্য আমরা প্রস্তুত। নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের। চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া আবু সুফিয়া বলেন, বিগত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে প্রচুর। আমাদের শঙ্কা এবারও একই ধরনের অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হবে। তাই নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি করছি। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব ও চট্টগ্রাম-১১, ১২, ১৩ আসনের প্রার্থী মাওলানা এম এ মতিন ও চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনের ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাওলানা মাঈনুদ্দীন রুহী বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হলে নির্বাচনে সংঘাত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাবে। তাই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি করছি। সিএমপি ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ঠেকাতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে দুই ক্যাটাগরিতে সাড়ে তিন হাজার অবৈধ অস্ত্রধারীর তালিকা করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র বিক্রেতা বা সরবরাহকারী এবং অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীর আলাদা আলাদা ভাবে তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে। এ দুই তালিকায় চট্টগ্রাম জেলার ১৬ থানার দেড় হাজার এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৬ থানার দুই হাজার অবৈধ অস্ত্রধারীর নাম তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে। বৈধ অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে বন্দুক, রাইফেল, রিভলবার ও পিস্তল। একই সময় নীতিমালা লঙ্ঘন করায় ১৩৫টি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। সম্প্রতি পুলিশ বৈধ অস্ত্রধারীদের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেয় নগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— নগরীতে বেশ কিছু বৈধ অস্ত্রের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। যে নাম-ঠিকানার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টরা অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছিলেন সে সব জায়গায় গিয়ে তাদের অনেককে খুঁজে পায়নি পুলিশ। বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকরা মানছে না নীতিমালা।

সর্বশেষ খবর