শুক্রবার, ৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

নোয়াখালীর ধর্ষণের মূলহোতা গ্রেফতার

নোয়াখালী প্রতিনিধি

সুবর্ণচরের সেই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার পর রিপোর্টে গণধর্ষণের সত্যতা মিলেছে। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী এলাকায় ৩০ ডিসেম্বর রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়।

গতকাল বিকালে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গণধর্ষণের সত্যতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে চরজব্বর থানা পুলিশ ঘটনার মূল হোতা সোহেলসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে নোয়াখালী ২ নম্বর আমলি আদালতে গতকাল সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মেডিকেল অফিসার আকেফা জাহানের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম নির্যাতিত গৃহবধূর শারীরিক পরীক্ষা করেন। পরে দুপুরের দিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনটি তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. খলিল উল্লাহর কাছে জমা দিলে তিনি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে তা পাঠিয়ে দেন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধূর মেডিকেল রিপোর্টে গণধর্ষণের আলামত মিলেছে। প্রতিবেদনটি জেনারেল হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. খলিল উল্লাহর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এদিকে দুপুরে জাতীয় মহিলা সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালে নির্যাতিতাকে দেখতে যান। সেখানে সংস্থার নেতারা ওই গৃহবধূকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, আদালতে আসামি সোহেল, স্বপন, বাসুর সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ জানান, সুবর্ণচরে গণধর্ষণ ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিনসহ আরও দুজনকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে এই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো।

এদিকে এ ঘটনার বিচারের দাবিতে নোয়াখালী সচেতন ছাত্রসমাজের ব্যানারে দুপুরে জেলা শহর মাইজদী টাউনহল মোড়ে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে বুধবার রাতে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি গোলাম ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী ওই নারী ও তার স্বামীকে দেখতে যান। তিনি ভিকটিমের পরিবারকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

সর্বশেষ খবর