বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে পাঁচ লাখের বেশি শিশু। এসব শিশুর সার্বিক নিরাপত্তা এবং তাদের শিক্ষার জন্য জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ চেয়েছে ইউনিসেফ। জাতিসংঘের শিশু ও শিক্ষাবিষয়ক এই সংস্থা বলছে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে ঠাঁই পাওয়া এবং নতুন করে জন্ম নেওয়া এসব শিশুর অধিকাংশই শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিক্ষার সীমিত সুযোগ এবং নিজেদের ঘরে ফিরতে পারবে কিনা সে বিষয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকা শিশুরা একটি হতাশাব্যঞ্জক ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রধান এডুয়ার্ড বেগবেদার। এদিকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার শিশু মানবেতর পরিস্থিতিতে রয়েছে বলে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি জানায়, শিশুরা পর্যাপ্ত খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসাসেবার সংকটে রয়েছে। এখনই যদি আমরা শিক্ষায় বিনিয়োগ না করি, তাহলে রোহিঙ্গা শিশুদের একটি ‘অর্থহীন প্রজন্ম’ দেখতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মতো দক্ষতার অভাব এবং মিয়ানমারে ফিরতে পারলে নিজেদের সমাজের জন্য ভূমিকা রাখার সামর্থ্য থাকবে না এই শিশুদের। ইউনিসেফের এক প্রতিবদেনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে বিপুল আন্তর্জাতিক ত্রাণ তৎপরতায় রোহিঙ্গাদের খাদ্যের মতো একটি মৌলিক চাহিদা পূরণ হচ্ছে। শিবিরে বড় ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ও অন্তত এই সময়ের জন্য এড়ানো গেছে। কিন্তু হঠাৎ করে আসা এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষার ব্যবস্থা করা ইউনিসেফ ও তার অন্য সহযোগীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ইউনিসেফের সূত্রমতে, ২০১৮ সালে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা নিতে ২ কোটি ৮২ লাখ ডলার অনুদান চেয়েছিল ইউনিসেফ। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে সেখানে ওই অর্থের অর্ধেকের সামান্য বেশি এসেছে। তথ্য অনুযায়ী, রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য গত জুলাই নাগাদ এক হাজার ২০০ শিক্ষাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে, যেখানে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার শিশু ভর্তি হয়েছে। তবে এখনো সেখানে কোনো স্বীকৃত পাঠ্যসূচি চালু না হওয়ায় তাদের মাতৃভাষা বার্মিজ ভাষায়ই পাঠদান চলছে। বিভিন্ন এনজিও সংস্থার পক্ষে পরিচালিত এসব শিক্ষাকেন্দ্রের শ্রেণিকক্ষগুলোতে গাদাগাদি করে বসতে হয় শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার নতুন একটি রূপরেখা এবং শিশুদের অক্ষর, ভাষা ও সংখ্যা-সংক্রান্ত ধারণা প্রদানসহ মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জানা গেছে। সব রোহিঙ্গা শিশুর মানসম্মত শিক্ষা এবং জীবনদক্ষতা অর্জনে সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিনিয়োগ করা উচিত বলে মনে করছে ইউনিসেফ। সব রোহিঙ্গা শিশুর জন্য প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও প্রাথমিকোত্তর শিক্ষায় অংশগ্রণের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে ইউনিসেফ।
শিরোনাম
- হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
- ভিকারুননিসায় রবিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত
- ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
- ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
- আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
- পেরুর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
- ২৩ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি
- এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর নিরাপত্তাঝুঁকি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি
- তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুড়িচংয়ে দোয়া মাহফিল
- ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবে না: তানিয়া রব
- জবিতেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে রবিবার
- সোনারগাঁয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মান্নানের সম্প্রীতি সমাবেশ
- ভূমিকম্প: ঢাবিতে রবিবারের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
- নোয়াখালীতে প্রয়াত ১০৯ বিএনপি নেতাকর্মীর পরিবারকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই: দুলু
- ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ঝুঁকিতে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা শিশু
আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আহ্বান
ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর