সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু

আখেরি মোনাজাত কাল

গাজীপুর ও টঙ্গী প্রতিনিধি

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে গতকাল সকালে শুরু হয়েছে মাওলানা সাদ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা। ভারতের মাওলানা হাফেজ ইকবালের আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় ইজতেমার কর্যক্রম। বয়ান বাংলায় তরজমা করছেন বাংলাদেশের মাওলানা আবদুল্লাহ মুনসুর। আগামীকাল মঙ্গলবার ইজতেমার শেষদিন আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৫৪তম বিশ^ ইজতেমার কার্যক্রম।

এবারের ইজতেমায়ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার সদস্যরা কয়েকটি স্তরে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। ইজতেমা মাঠের পরিস্থিতি নজরে রাখতে পুলিশ ও র‌্যাব কন্ট্রোলরুম ও ওয়াচ টাওয়ার বসিয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে কন্ট্রোল রুম থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা সাধারণ  পোশাকে খিত্তায় খিত্তায় অবস্থান করছেন। ইজতেমা এলাকায় আইনশৃঙ্খলাসহ সব ব্যবস্থাপনা আগের মতোই বহাল রয়েছে। গতকাল ভোরে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার মধ্যেই সাদপন্থিরা মাঠে প্রবেশ করে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু করেন। সকাল ৭টার দিকে টঙ্গীর ইজতেমাস্থল ও আশপাশে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে দুর্ভোগে পড়েন মুসল্লিরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বাড়তে থাকে অংশ নেওয়া মুসল্লির সংখ্যাও। জোহরের নামাজের পর মূল বয়ান মঞ্চ থেকে জ্যেষ্ঠ মুরব্বিরা আল্লাহ ও রসুলের নির্দেশিত ইসলামী বিধানের ওপর দিক নির্দেশনামূলক বয়ান করেন। জোহরের নামাজের পর ভারতের মাওলানা আবদুল বারী আমবয়ান পেশ করেন।

পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সকাল ৭টার দিকে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন দেশ বিদেশের সাদ অনুসারী মুসল্লিরা। বাস, ট্রাক, ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে আসেন তারা। ইজতেমা ময়দানে   দেশের ৬৪টি জেলার ৮৪টি খিত্তায় বিভক্ত হয়ে মুসল্লিরা ময়দানে অবস্থান নেন। এদিকে বৃষ্টির পর মাঠের নানাবিধ সমস্যার সমাধানে ময়দানে ছুটে যান গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি গত দুই দিনের লাখো মুসল্লির ফেলে যাওয়া আবর্জনা পরিষ্কারসহ পানি, গ্যাস এবং পয়ঃ নিষ্কাশন সমস্যার সমাধানে সিটির লোকজনকে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া পানি উত্তোলনের জন্য ৩২টি  মোটর এবং গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা করেন। এ ছাড়া তিনি ময়দানের খিত্তায় গিয়ে আগত মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এদিকে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৮ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার আখেরি মোনাজাত হওয়ার কথা থাকলেও আগামীকাল ১৯ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাত করবেন সাদপন্থি ইজতেমার মুরব্বিরা। বিষয়টি নিয়ে ইজতেমার মুরব্বি আশরাফ আলী বলেন, মশোয়ারার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইজতেমার আখেরি মোনাজাত ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিন জোহরের নামাজের আগে আখেরি মোনাজাত হবে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান জানান, ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ময়দান পুরোপুরি খালি না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে তিনি।

সর্বশেষ খবর