রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রথম ধাপে ৭৮ উপজেলায় আজ ভোট

বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ । অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ : ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথম ধাপে ৭৮ উপজেলায় আজ ভোট

পঞ্চম উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আজ। ৭৮ উপজেলায় আজ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনী মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালামাল পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী (উপজেলায়) এলাকায় ভোটের দিন সাধারণ ছুটি রয়েছে।

ভোট নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে নির্বাচনী এলাকায়। নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই হবে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে। সব দল উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রাজশাহী বিভাগের ১২ জেলার প্রথম ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তবে আদালতের আদেশে রাজশাহীর পবা, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়। প্রভাব খাটানোর অভিযোগে লালমনিরহাটের আদিতমারী, নেত্রকোনার পূর্বধলা ও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে ইসি। এ ছাড়া মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ এবং নাটোর সদরে সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে ২০৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৩৮৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৮ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন রয়েছেন।

আজ যেসব উপজেলায় ভোট হচ্ছে-রংপুর বিভাগ : পঞ্চগড় জেলার সদর, আটোয়ারী, বোদা, দেবীগঞ্জ ও তেঁতুলিয়া। কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী, উলিপুর, নাগেশ্বরী, রাজারহাট, রাজিবপুর, সদর, চিলমারী ও রৌমারী। নীলফামারী জেলার সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ। লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, সদর, কালীগঞ্জ।

ময়মনসিংহ বিভাগ : জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, ইসলামপুর, বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ। নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা, দুর্গাপুর, খালিয়াজুরী, মোহনগঞ্জ,  কলমাকান্দা, কেন্দুয়া, মদন ও সদর।

সিলেট বিভাগ : সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, সদর, দিরাই, শাল্লা, ধর্মপাশা, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর। হবিগঞ্জ জেলার সদর, বাহুবল, মাধবপুর, চুনারুঘাট, নবীগঞ্জ, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং ও লাখাই।

রাজশাহী বিভাগ : সিরাজগঞ্জ জেলার সদর, বেলকুচি, চৌহালী,  কাজীপুর, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, তাড়াশ। জয়পুরহাট জেলার সদর, পাঁচবিবি, আক্কেলপুর, কালাই ও ক্ষেতলাল। নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, লালপুর ও সিংড়া। রাজশাহী জেলার তানোর, গোদাগাড়ী, মোহনপুর, বাগমারা, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, চারঘাট ও বাঘা উপজেলা।  

অনিয়ম হলেই ভোট বন্ধ : নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান বলেছেন, উপজেলায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যদি কোথাও কোনো রকম অনিয়ম দেখা যায়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সেই কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে কমিশন সংশ্লিষ্টদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ : উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল বিভিন্ন স্থানে মূল প্রার্থী ও স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হয়েছেন। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- ফরিদপুর : ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মনিরুজ্জামান সরদারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) কাজী শাহ জামান বাবুলের সমর্থকদের কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। জানা গেছে, নগরকান্দার লস্করদিয়া ইউনিয়নের আইনপুরে সকালের দিকে নৌকার প্রার্থী মনিরুজ্জামান সরদারের সমর্থকদের সঙ্গে আনারস প্রতীকের শাহ জামান বাবুলের সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। স্থানীয়রা জানান, নৌকা প্রতীকের সমর্থক ইনছুর শেখের সঙ্গে আনারস প্রতীকের সমর্থক নাসিরের কথা কাটাকাটির জের ধরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত হয় কমপক্ষে ১৭ জন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমজেদ শেখ (৩৫) ও বাবুল শেখকে (৪২) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের নগরকান্দা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে বিকালে চরযশোরদী ইউনিয়নের চাঁদহাট ধর্মদী এলাকায় নৌকা প্রার্থীর সমাবেশে হামলা চালিয়ে মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করেছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী কাজী শাহ জামান বাবুলের সমর্থকেরা। বেলা ৪টার দিকে ধর্মদী এলাকায় নৌকা প্রার্থীর পক্ষে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এ সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান পথিক তালুকদারের নেতৃত্বে কয়েকশ ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সমাবেশস্থলে হামলা চালায়। তারা মঞ্চ ও কয়েকশ চেয়ার ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় নৌকার ১৩ সমর্থক আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর দুই পক্ষের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুটি স্থানে অবস্থান করায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে দোয়ারাবাজারে আওয়ামী লীগ মনোনীত ডা. আবদুর রহিম ও বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী দেওয়ান তানভির আশরাফী বাবুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বেলা ১১টায় উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলাবাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চেয়ারম্যান প্রার্থী রহিমের পক্ষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মামুন ও বাবুর পক্ষে ইউপি সদস্য আবদুল মতিনের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর আশরাফী বাবুর কর্মী কামরুল, নজরুল, রাজ্জাক ও করিম উপজেলা সদর থেকে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি যাচ্ছিলেন। টেংরাটিলাবাজারের আজবপুর মোড়ে পৌঁছালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মামুন খন্দকারের ভাই ইমু যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের একটি গ্রুপ নিয়ে মোটরসাইকেলের পথরোধ করেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। পরে সালিশ বৈঠকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

বগুড়া : আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বগুড়া সদর উপজেলার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেলের মোটরসাইকেল প্রতীকের এক হাজার পোস্টার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে বগুড়া শহরের গালাপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পোস্টার পোড়ানোর জন্য মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদেরকে দায়ী করেছেন। স্থানীয়রা জানান, একটি ভ্যানগাড়ি যোগে রুবেলের কর্মীরা পোস্টার নিয়ে শহরের গালাপট্টি শহর বিএনপি অফিসের সামনে আসেন। তারা পোস্টারগুলো সেখানে ঝুলানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ অফিস থেকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা সেখানে পৌঁছে রুবেলের কর্মীদের ধাওয়া করেন। তারা পালিয়ে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা পোস্টারগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেন।

নাটোর : নাটোরের বড়াইগ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী (নৌকা) ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলুর (আনারস) সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ১১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল দিনভর ও আগের দিন রাতে এসব ঘটে। জোনাইলের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল করিম মাস্টার ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জোনাইল পাগলা বাজারে নৌকার সমর্থকরা মিছিল করছিলেন। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা শোডাউন নিয়ে পেছন থেকে গিয়ে মিছিলের কয়েকজন লোককে মোটরসাইকেল দিয়ে ধাক্কা দেন। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষে সংঘর্ষে বেধে ১৪ জন আহত হন।

ঝালকাঠি : ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত (নৌকা) প্রার্থী এমাদুল হক মনির এবং স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী (কাপ-পিরিচ) বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সিকদারের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৩৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যন গোলাম কিবরিয়া সিকদার, তার বড় ভাই সদর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম কবির সিকদার, সমর্থক শিল্পপতি কৌশিক সেন, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জিসান সিকদারও রয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালিয়ে কিবরিয়া সিকদারের তালতলা বাজারের নির্বাচনীয় কার্যালয়, শিল্পপতি কৌসিক সেনের দুটি প্রাইভেটকার, বাসার জানালা-গ্লাসসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এক পর্যায়ে কিবরিয়া সিকদার তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে নৌকার সমর্থকরা তাদের কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।

পৌর মেয়রসহ আওয়ামী লীগের ১১ নেতার কারাদ- : রাজশাহীর দুর্গাপুরে পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেনসহ আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল দুপুরে দুর্গাপুর পৌরসভায় বৈঠক করার সময় তাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের প্রত্যেককে ৫ দিন করে কারাদ- দেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের আটক করা হয়েছে। আজ দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আটক হওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মজিদের সমর্থক। রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ ১১ জনকে আটক করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন, ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাহার আলীসহ ১১ জনকে পাঁচ দিন করে কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার হামিদ এ আদেশ দেন। এর আগে দুপুরে দুর্গাপুর পৌরসভা ভবন থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। দ-প্রাপ্ত সবাই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। এদের মধ্যে পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

দ-প্রাপ্ত অন্যরা হলেন- দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজহার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মজনু, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি নুর হোসেন, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোলাইমান আলী, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মেয়র তোফাজ্জাল হোসেনের ছেলে মনিরুজ্জজামান মনি, ভাগ্নে রবিউল ইসলাম রবিন ও ছাত্রলীগ কর্মী সাকিল। তারা দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী আবদুল মজিদ সরদারের পক্ষে কাজ করছিলেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল মজিদ সরদার অভিযোগ করেন, ‘দুর্গাপুর পৌর কার্যালয়ে ঘরোয়াভাবে বৈঠক করছিলেন মেয়রসহ বেশ কিছু নেতা-কর্মী। এর আগে সকালে দুর্গাপুরের ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাহার আলীকেও আটক করা হয়।

পুলিশ দাবি করেছে, নির্বাচনের দুই দিন আগেই প্রচারণা বন্ধ করার নিয়ম আছে। কিন্তু মজিদের সমর্থকরা বিধি ভেঙে বৈঠক করছিলেন। এই অপরাধে তাদের আটক করা হয়েছে।

এদিকে দুপুরে দুর্গাপুর পৌরসভা কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মজিদ সরদারকে। মোবাইল ফোনে আবদুল মজিদ জানান, তার নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আটক করার খবর পেয়ে তিনি পৌর কার্যালয়ে এলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে সেখানে অবরুব্ধ করে রাখে। তাকে সেখান থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। বের হলে তাকে আটক করা হবে এমন হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আবদুল মজিদ।

 

সর্বশেষ খবর