সোমবার, ১১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
কর্মশালা ও প্রদর্শনী উদ্বোধনে অর্থমন্ত্রী

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিতে আওয়াজ তুলতে হবে এখনই

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্ব ইতিমধ্যে ২৬ শতাংশ উপকূলীয় জমি হারিয়েছে। বিশ্বব্যাপী আমরা প্রতি বছর ২ হাজার হেক্টর ভূমি হারাচ্ছি। এজন্য জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে পৃথিবীকে রক্ষা করা যাবে না। আমাদের আগামী প্রজন্মের নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্য আমাদের এখনই আওয়াজ তুলতে হবে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল দুই দিনব্যাপী নবায়নযোগ্য শক্তি ও সাশ্রয়ী জ্বালানিবিষয়ক কর্মশালা ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি। ‘বাংলাদেশ ক্লিন এনার্জি সামিট’ নামক এই আন্তর্জাতিক সেমিনার এবং এক্সপোতে জ্বালানি দক্ষতা, নবায়নযোগ্য শক্তি, সবুজ ব্লিডিং এবং গ্রিন ফাইন্যান্স বিষয়ে প্রচারণা করা হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কার্বন নিঃসরণের জন্য বেশি দায়ী এমন দেশগুলোর তালিকায় আছে চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। বাংলাদেশ সে তুলনায় কম কার্বন নিঃসরণ করলেও আমাদের এজন্য খেসারত দিতে হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে এখনই কথা বলতে হবে। ইতিমধ্যে বিশ্বে যে হারে বরফ গলা শুরু হয়েছে এটা অব্যাহত থাকলে খুব শিগগিরই বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের বেশকিছু উপকূলীয় অঞ্চল পানির নিচে চলে যাবে। তাই যে কোনো মূল্যে জলবায়ু পরিবর্তনের হার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রধান সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমাদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরডির সচিব ও ইডকলের চেয়ারম্যান মনোয়ার আহমেদ। তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ব্যবস্থা করছি। আবার এটাও ঠিক যে  বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়। মনোয়ার আহমেদ বলেন, এই সামিট হচ্ছে নবায়নযোগ্য শক্তি ও সাশ্রয়ী জ্বালানিবিষয়ক প্রযুক্তি প্রদর্শনের একটি প্লাটফরম।  সামিটটি স্পন্সর করছে বসুন্ধরা গ্রুপ, কনফিডেন্স গ্রুপ, বাংলাট্র্যাক, ম্যাক্স, রিজেন্ট এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার, কর্ণফুলী পাওয়ার এবং শক্তি পাম্পসহ মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান। দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক, অর্থায়নকারী, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছেন।

সর্বশেষ খবর