রাজশাহীর তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশেই একটি ছোট ঘরে চলছে ‘প্রাইম ডায়াগনস্টিক’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। অথচ প্রতিষ্ঠানটি রাজপাড়া এলাকায় নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। শুধু তানোরে নয়, জেলার সব উপজেলায় অধিকাংশ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে অনুমোদন ছাড়াই। নগরীতে সিভিল সার্জন অফিসের আশেপাশে এমন ২২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অবস্থান। রাজশাহী জেলায় প্রাইভেট ক্লিনিক ১২১টি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ২২৬টি এবং ব্লাড ব্যাংকের সংখ্যা ৪টি। এর মধ্যে ১৮৬টি চলছে নিবন্ধন ছাড়া।
স্বাস্থ্য বিভাগের লাইসেন্সে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের ব্যবসা করছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পাওয়া তথ্য মতে, রাজশাহীর ক্লিনিকপাড়া হিসেবে পরিচিত লক্ষ্মীপুর এলাকাতেই ২২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবৈধভাবে বছরের পর বছর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা ব্যবসায়ী সংগঠনের কাছে রয়েছে। অভিযোগ পেলেই শুধু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে স্বাস্থ্য বিভাগ। দু-একটি সিলগালা করা হলে নাম পাল্টে আবারও চালু হয় একই ব্যবসা। রোগী ও স্বজনসহ বৈধ ব্যবসায়ীদের দাবি, এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারিত হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনরা। তবে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবি, অন্যান্য জেলার চেয়ে রাজশাহীতে অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের সংখ্যা কম। অভিযোগ আছে, এসব প্রতিষ্ঠানে অদক্ষ জনবল ও অননুমোদিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে রোগীরা যেমন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন, তেমনি নিবন্ধন নবায়ন না করে সরকারকেও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে এসব প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন জানান, পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া কোনো ক্লিনিক, হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিবন্ধিত হতে পারে না। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকলে ছাড়পত্র প্রদান সম্ভব নয়। আর রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এস আই এম রাজিউল করিম বলেন, অবৈধভাবে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।