বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

দ্বিতীয় ধাপে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে ৭৯.৬৭ ভাগ সর্বনিম্ন ৮.৬৩

উপজেলার ফল বিশ্লেষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোটারশূন্য ভোট কেন্দ্র থাকলেও গড়ে ৪১.২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায় সর্বোচ্চ ৭৯.৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ৮.৬৩ শতাংশ। এ উপজেলায় ১ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৯ ভোটের মধ্যে মাত্র ভোট দিয়েছেন ১৪ হাজার ৭০৪ জন। সেই সঙ্গে সিলেটের জৈন্তাপুরের ভোট পড়েছে ৯.৩৮ শতাংশ, গোয়াইনঘাটে ১৬.৫৩ শতাংশ এবং বগুড়া সদর উপজেলায় ভোট পড়েছে ১৩.১৩ শতাংশ। এ ছাড়া খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ভোট পড়েছে ৭৮.১২ শতাংশ এবং ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে ৭১.৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথম ধাপে ভোট ৪৩.৩২ শতাংশ : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৪৩.৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ১৩.১৯ শতাংশ। আর পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় সর্বোচ্চ ৭১.১৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা। প্রথম ধাপের ভোটে ৭৮ উপজেলায় ভোটারসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৫০। প্রথম ধাপের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১ কোটি ১০ লাখ ৫২ হাজার ৬৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫১২ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৪ হাজার ৩৫৪টি ভোট বাতিল হয়েছে।

বাকি ভোট বৈধ হিসেবে গন্য হয়। ছয়টি উপজেলায় ৩০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। এগুলো হচ্ছে পঞ্চগড় সদর (২০.৬৩ শতাংশ), কুড়িগ্রামের উলিপুর (২৯.৭২ শতাংশ), নীলফামারীর ডিমলা (২৪.৮৯ শতাংশ), লালমনিরহাট সদর (২৬.০৯ শতাংশ), রাজশাহীর পুঠিয়া (২৬.৬৯ শতাংশ) ও বাগমারা (১৩.১৯ শতাংশ)। বাগমারা উপজেলায় ২ লাখ ৭৮ হাজার ১৪টি ভোটের মধ্যে ৩৬ হাজার ৬৭০ ভোট পড়েছে। অপরদিকে সর্বোচ্চ ভোট পড়া আটোয়ারী উপজেলায় ৯ লাখ ৬০ হাজার ২১ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৬৮ হাজার ৩২৬ জন।

২০১৪ সালে সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গড়ে ৬১ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ওইবার প্রথম পর্বে ৬২.৪৪ শতাংশ, দ্বিতীয় পর্বে ৬৩.৩১ শতাংশ, তৃতীয় পর্বে ৬৩.৫২ শতাংশ, চতুর্থ পর্বে ৫৬.১২ শতাংশ ও পঞ্চম পর্বে ৬০.৮৯ শতাংশ ভোট পড়ে। ২০০৯ সালে এক দিনে সারা দেশে ভোট হয়। এতে ৪৭৫টি উপজেলার মোট ভোটের হার ছিল ৬৭.৬৯ শতাংশ।

সর্বশেষ খবর