রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
সাজেদা চৌধুরীর গাড়িবহরে হামলায় নগরকান্দা উত্তাল

জামাল কামালের গ্রেফতার দাবি

ফরিদপুর প্রতিনিধি

জামাল কামালের গ্রেফতার দাবি

সাজেদা চৌধুরী

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও  দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির  দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে ফরিদপুরের নগরকান্দায় এ কর্মসূচি পালিত হয়। নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন নগরকান্দা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেব ফকির, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সদস্য কাজী শাহ জামান বাবুল, সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল মোল্যা, আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলম খন্দকার, চরযশোরদী ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান তালুকদার পথিক, ডাঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান কালাম কাজী, ফুলসূতি ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন, কাইচাইল ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ঠা ু, তালমা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ খান, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলাম লিখন, পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন, সদানন্দ দাস, টিটু মাতুব্বর, ইয়াকুব হোসেন প্রমুখ। নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস চত্বরে আয়োজিত দুই ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে ফরিদপুর-২ আসনের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাসী জামাল হোসেন মিয়া ও তার ভাই জেলা পরিষদ সদস্য কামাল হোসেন মিয়া নগরকান্দা-সালথা উপজেলাজুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। জামাল-কামাল বাহিনী নগরকান্দা-সালথায় একের পর এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এ বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ বাহিনী খুন, চাঁদাবাজি, হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট অব্যাহত রেখেছে। এরা সংসদ উপনেতাকে হত্যার জন্য তার গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছিল। সে হামলার মূল আসামি জামাল ও কামাল এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। সংসদ উপনেতার গাড়িবহরে যারা হামলা চালিয়েছিল তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, জামাল-কামাল বাহিনীর মদদে তালমা ইউনিয়নের স্কুলছাত্র আলাউদ্দিন আহমেদ অন্তরকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। সেই খুনের মামলার আসামিদের বাঁচাতে জামাল-কামাল বিভিন্নভাবে অন্তরের মাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে তাকে এলাকাছাড়া করা হবে। জামাল-কামাল বাহিনীর অত্যাচারে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। জামাল-কামাল বাহিনীর অপকর্মের কেউ প্রতিবাদ করলে তার ওপর নারকীয় নির্যাতন নেমে আসে। সন্ত্রাসী হামলায় নিহত অন্তরের মা বলেন, ‘আমার নিরীহ ছেলেকে জামাল-কামাল বাহিনীর নির্দেশে তার সহযোগীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এ হত্যার পর মামলা দেওয়া হলে সন্ত্রাসী বাহিনী আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা এখন মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি দিচ্ছে।’ বক্তারা আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামাল-কামাল ও তার দোসরদের আটক করা না হলে ফরিদপুর-২ আসনের মানুষ কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে। বক্তারা তাদের বক্তৃতায় নগরকান্দা-সালথায় জামাল হোসেন মিয়া ও তার ভাই কামাল হোসেন মিয়াকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া হাজারো মানুষ ‘জামালের ফাঁসি চাই, কামালের ফাঁসি চাই’ স্লোগানে স্লোগানে গোটা এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। পরে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরকারি কলেজ মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

সর্বশেষ খবর