বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফের ঝড় বৃষ্টি, কমবে আগামী সপ্তাহে

বজ্রপাতে মৃত্যু ৪ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফের ঝড় বৃষ্টি, কমবে আগামী সপ্তাহে

চলতি এপ্রিল মাসে একের অধিক ঘূর্ণিঝড় এবং মাস শেষে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এ আশঙ্কা আবহাওয়া অধিদফতরের। এপ্রিল মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী- এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে ১-২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যা পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে এবার বৈশাখের আগেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতসহ শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী হতে দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা জানান, আগামী সপ্তাহ থেকে দেশে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গতকাল ঢাকায় ১৮ মিমি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

বজ্রপাতে মৃত্যু ৪ জনের ঝড়ে ক্ষতি : দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে চারজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে সিলেটে তিনজন ও সুনামগঞ্জে একজন মারা গেছেন। এছাড়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

সিলেট : সিলেটে বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের ধুপড়িয়া হাওরে বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার তেরাকুড়ি গ্রামের মো. জিতু মিয়া এবং তার তালতো ভাই রাজন মিয়া ও  আনোয়ার হোসেন। জিতু ও রাজনের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপাশায়। তারা তিনজন মিলে ধুপড়িয়া হাওরে ধান কাটছিলেন। বজ্রপাতে তিনজন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি বদরুজ্জামান। সুনামগঞ্জ : দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের চেলা নদীর উজান থেকে পাথর আনতে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে এক বারকি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল সকাল ১০টায় স্থানীয় চাইরগাঁও বিজিবি চেক পোস্টোর কাছে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে নিহত হলেন মো. আলী হোসেন (২৭)।

 তিনি নরসিংপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মৃত সাফির উদ্দিনের ছেলে। আহতরা হলেন একই গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৩) ও আবদুল জলিলের ছেলে আসাব উদ্দিন (২৫)। স্থানীয়রা জানান, বজ্রপাতের সময় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় আলী হোসেনের। রংপুর : রংপুরে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আমচাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

 বিশেষ করে হাঁড়িভাঙা আমের মুকুল ও গুটি ঝরে পড়ার সঙ্গে ভেঙে গেছে গাছও। এমন ক্ষতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আমচাষিরা।

জানা গেছে, হাঁড়িভাঙা আমের জন্য প্রসিদ্ধ রংপুরের মিঠাপুকুরের খোড়াগাছ, ময়েনপুর, রানিপুকুর, বালুয়া মাসিমপুর, ছড়ান, বড়বালা, লতিবপুর, সদর উপজেলার সদ্যপুষ্করণী, বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর, গোপালপুর, লোহানীপাড়াসহ বেশকিছু এলাকায় আমচাষিদের বাগান রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, বেশির ভাগ চাষির বাগানে মুকুল ঝরে গেছে। কোথাও কোথাও গাছ উপড়ে পড়েছে। সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়নের নয়াপুকুর এলাকার সাগর ম-ল, মিলন মিয়া, রবিউল ইসলাম জানান, এক রাতের ঝড়েই তাদের বসতভিটার আমগাছের মুকুলগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর