উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে টানা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতিতে স্বচ্ছতাসহ আট দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি। দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। চলমান আন্দোলনের ২১তম দিনে গতকাল সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। শিক্ষার্থীদের নেতা মো. জহিরুল ইসলাম জানান, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের দাবি মেনে না নিলে মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের উপাচার্য ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে কটাক্ষ করার অভিযোগ রয়েছে। এর প্রতিবাদ ও মন্তব্য প্রত্যাহারসহ ১০ দফা দাবিতে ২৭ মার্চ আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ২৮ মার্চ ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করেন উপাচার্য। শিক্ষার্থীরা ওইদিনই তার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। উপাচার্য ২৯ মার্চ তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিলেও মন গলেনি শিক্ষার্থীদের। ৬ এপ্রিল বিভাগীয় প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সার্কিট হাউসে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ও সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর উপস্থিতিতে এক সমঝোতা সভা হলেও উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে অনড় থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলনের পেছনে সাবেক উপাচার্য, বর্তমান ট্রেজারার, শিক্ষকদের একটি অংশ এবং স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করে আসছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হক। শিক্ষার্থীদের আরেক নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ শিফাত বলেন, উপাচার্য তাদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেছেন। এটা তারা মেনে নিতে পারছেন না। তাই কারও প্ররোচনায় নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরাই উপাচার্যের পদত্যাগ আন্দোলন করছেন। এদিকে, বৃহস্পতিবার শিক্ষাসচিব বরাবর ১৫ দিনের ছুটির আবেদন করেছেন উপাচার্য প্রফেসর ইমামুল হক। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া জানান, গৃহীত সিদ্ধান্ত বাতিলসহ আট দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। তিনি বলেন, নিয়মানুযায়ী প্রভাষকরা চাকরির পর তিন বছর অপেক্ষাকাল শেষ করে চাকরি স্থায়ীকরণের মাধ্যমে পদ পুনর্বিন্যাসের জন্য পদোন্নতির আবেদন করতে পারতেন। কিন্তু সিন্ডিকেটের আলোচ্যসূচি কার্যকর হওয়ায় ত্রিশোর্ধ্ব শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে গেছে। নতুন নিয়মের কারণে প্রভাষকদের পদোন্নতি পেতে সাড়ে পাঁচ বছর থেকে ছয় বছর লাগবে।
শিরোনাম
- রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪
- শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
- উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
- হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
- পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
- গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
- মার্কিন নির্বাচনে হামলার পরিকল্পনায় আফগান নাগরিকের ১৫ বছরের দণ্ড
- নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
- ‘শততম’ ম্যাচে শতক হাঁকালেন লিটনও
- শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
- বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?
- তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
- মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
- শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
- প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি
- ভারতকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশ
- ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
- জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
- চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
বরিশালে ভিসির পদত্যাগ দাবিতে মাঠে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর