শিরোনাম
সোমবার, ২৭ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

ট্রেনের টিকিট বিক্রির শেষ দিনেও ব্যাপক ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে। তবে গতকাল শেষ দিনেও ছিল টিকিটপ্রত্যাশীদের চরম ভোগান্তি। এদিন দেওয়া হয় ৪ জুনের টিকিট। কিন্তু টিকিট পেতে অনলাইনের পাশাপাশি স্টেশনে গিয়ে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে যাত্রীদের। এবার যাত্রীসেবা বাড়ানো ও ভোগান্তি কমাতে বাংলাদেশ রেলওয়ে  ট্রেনের মোট টিকিটের ৫০ শতাংশ ই-টিকিটিংয়ের জন্য রেখেছিল। কিন্তু শুরু থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট পাওয়া ছিল দুঃসাধ্য। মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করেও বেশির ভাগ মানুষ টিকিট পাননি। ঈদের আগাম টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিনে অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কিনতে না পারার অভিযোগ করছেন অনেকে। বাধ্য হয়ে তাদের ছুটতে হয়েছে কমলাপুর স্টেশনসহ বিভিন্ন গন্তব্যের জন্য নির্দিষ্ট কাউন্টারে। ফলে দ্বিগুণ ভোগান্তির শিকার হয়েছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। কমলাপুর স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে আসা যাত্রীরা জানিয়েছেন, ট্রেনের টিকিট  মোবাইল অ্যাপে কিনতে ব্যর্থ হয়ে কমলাপুর এসেছেন। অনেক  চেষ্টা করেও মোবাইল অ্যাপে ঢুকতে পারেননি কেউ। রেলওয়ের অনলাইন টিকিট সেবা দিচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিএনএস বিডি। ঢাকার স্টেশন থেকে অনলাইনে বরাদ্দ আছে ১০ হাজার ৫৬১টি টিকিট। এর মধ্যে দুপুর ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ছয় হাজার ৫৭৩টি টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে কমলাপুর স্টেশনের মনিটরে প্রদর্শিত সিএনএস বিডির এ তথ্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তারা বলেন, ‘মনিটরে  দেখাচ্ছে কয়েক হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এই টিকিট পেল কারা? আমরা এখানে আসার পরও সকাল থেকে ৩৫-৪০ বার অ্যাপে টিকিট কেনার চেষ্টা করেছি, পারিনি। এখানে যারা আছেন সবাই চেষ্টা করেছেন অ্যাপসে টিকিট কেনার, কিন্তু কেউ পাননি। অ্যাপে যদি এত টিকিট বিক্রি হতো তাহলে আমরা সবাই এখানে  কেন?’অনলাইনে টিকিট না পেলেও কাউন্টার থেকে টিকিট পাওয়া গেছে। শনিবার কমলাপুর স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রির নির্ধারিত সময় ৪টার পরও টিকিট নিতে দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে টিকিট বিক্রির শেষ দিনেও। রেল কর্মকর্তারা জানান, অন্যান্য বছরের মতো এবার টিকিটের জন্য কারও ডিও না নেওয়ায় কোনো টিকিট বণ্টন করে রাখার প্রয়োজন পড়ছে না। এ কারণে কাউন্টার  থেকে টিকিট পাচ্ছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা।

সর্বশেষ খবর