সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
জুলহাস-তনয় হত্যায় চার্জশিট

মেজর জিয়াসহ অভিযুক্ত ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে আলোচিত জুলহাস মান্নান ও মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যা মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।  নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম প্রধান পলাতক সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর (চাকরিচ্যুত) জিয়াসহ মোট আটজনকে অভিযুক্ত করে গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম সাইদুজ্জামান শরীফের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শরীফ সাফায়েদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মার্কিন দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ইউএসএইড কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান এবং তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয়কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১৩ জন অংশ নিয়েছিলেন। জোড়া খুনে জড়িতরা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য। তাদের মধ্যে আটজনের নাম-ঠিকানা পাওয়া গেছে। বাকি পাঁচজনের পূর্ণ নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। এ কারণে আটজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের অদূরভবিষ্যতে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেফতার চারজন আদালতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তদন্ত করে আসছিল। ১৩ মে অভিযোগপত্র অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করা হলো। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, জুলহাস ও তনয় হত্যায় অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন গ্রেফতার রয়েছেন। তারা হলেন আনসার আল ইসলামের মিডিয়া শাখার প্রধান এবং ইন্টেলিজেন্স সদস্য মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫), সামরিক শাখার সদস্য ও সমন্বয়ক আরাফাত রহমান (২৪), ইন্টেলিজেন্স শাখার প্রধান শেখ আবদুল্লাহ (২৭) এবং সামরিক শাখার সদস্য আসাদুল্লাহ (২৫)।

 মামলার পলাতক আসামিরা হলেন আনসার আল ইসলাম প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (৪২), আকরাম হোসেন (৩০), সাব্বিরুল হক চৌধুরী (২৬) ও জুনাইদ আহমদ ওরফে মাওলানা জুনেদ আহম্মদ ওরফে জুনায়েদ (২৬)। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামিদের জবানবন্দি এবং অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে জানা যায়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিরা নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন পর্যায়ের সক্রিয় সদস্য। মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত) নির্দেশে সংগঠনের সামরিক শাখার সদস্যরা এ হত্যার ঘটনা ঘটায়।

২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর ৩৫ নম্বর উত্তর ধানমন্ডি ঠিকানায় ইউএসএইড ঢাকা অফিসে কর্মরত জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয়কে সন্ত্রাসীরা নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করা হয়। প্রথমে ডিএমপির ডিবি মামলাটি তদন্ত করে। পরে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর