দেশে চামড়ার সিন্ডিকেটে কারা আছে, তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মন্ত্রী ও সচিব সবাই জানেন বলে মনে করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ। তার মতে- এবার ভয়াবহ অব্যবস্থাপনার কারণে কোরবানির চামড়া নিয়ে ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য হয়েছে। কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত সঠিক না। এর আগে আমরা কাঁচা পাট রপ্তানি করে পাটশিল্প ধ্বংস করেছি। ঠিক একইভাবে চামড়া শিল্প ধ্বংস হবে, তা মেনে নেওয়া যায় না।
গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অব্যবস্থাপনার কারণে চামড়া শিল্পে ভয়াবহ নৈরাজ্য হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের বিকাশমান অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চামড়া শিল্পের চলমান সংকট উত্তরণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দেশি-বিদেশি বড় বড় জুতা ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজনে আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগকারীদের ১৫ বছর মেয়াদি কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হোক। কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত সঠিক না। কাঁচা চামড়ায় ৬ থেকে ৭ গুণ মূল্য সংযোজন করে রপ্তানি সম্ভব। কাঁচা পাট রপ্তানি করায় আমাদের পাটশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রয়োজনে সরকার চামড়া কিনুক। আর এই শিল্পে সিন্ডিকেট কারা করছে, তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানে। চামড়া নিয়ে সিন্ডিকেট কারা করত তা মন্ত্রী-সচিব সবাই জানেন। এখন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদককে সক্রিয় হয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। চামড়া দেশের সম্পদ, তা নষ্ট হতে দেওয়া ঠিক হবে না।