ভারতের অন্যতম থিঙ্ক ট্যাংক ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়ার (এনআইটিআই) উপপ্রধান রাজিব কুমার বলছেন, ৭০ বছরের মধ্যে ভারতের বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা নজিরবিহীন। গত ৭০ বছরে আর্থিক খাতের তারল্য সংকট এমন অবস্থায় যায়নি। পুরো আর্থিক খাতেই একটা ঝাঁকুনি লেগেছে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজিব কুমার বলেন, এ পরিস্থিতি মোকাবিলায়, বেসরকারি খাতের আশঙ্কা দূর করতে সরকারকে যা করার তা এখনই করতে হবে। সমস্যা যে আর্থিক খাতে, সরকার তা ঠিকভাবে ধরতে পেরেছে। তারল্যের ক্ষেত্রে দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। সরকারকে এখনই তা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অবস্থা এখন গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে মন্থর অবস্থায় আছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। অথচ গত অর্থবছরে (যা মার্চের ৩১ তারিখ শেষ হয়েছে) প্রবৃদ্ধি হয় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। নতুন অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (এপ্রিল-জুন) জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কলকাতায় লাইন-ম্যান হিসেবে কাজ করে এমন প্রায় ৪ হাজার ৮০০ কর্মচারী গত জানুয়ারি মাসের পর কোনো বেতন বা টাকা পাননি। কাপড় কলের মালিকরা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়েছেন, বস্ত্র শিল্পের অবস্থা খুব খারাপ। কাপড় কলের তিনভাগের একভাগ এ বছরই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এদিকে দেশটিতে গাড়ি বিক্রিও কমেছে। নয়ডার মারুতি গাড়ির কারখানা থেকে শুরু করে জামসেদপুরের টাটা মোটরের উৎপাদন কদিনের জন্য বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বেশ কিছু সিমেন্ট কারখানা বন্ধ। এছাড়া বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। গত ৪৫ বছরের ইতিহাসে দেশটিতে বর্তমানে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি।
