বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আরও কার্যকর ও সুপরিসর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ বিমানবন্দরে যাত্রী ও পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য থার্ড টার্মিনাল নির্মাণসহ বিমানবন্দরটির

সম্প্রসারণে২০ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকার একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (পারচেজ)। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম (এডিসি)। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পারচেজ কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বৈঠকে এটিসহ মোট ৫টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে; যার মোট মূল্য ২৪ হাজার ২৯৬ কোটি ১৮ লাখ ৬৮৭ টাকা। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সূত্রে জানা গেছে, দিন দিন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গুরুত্ব বাড়ছে। বিদেশি বিপুলসংখ্যক উড়োজাহাজ এখন ঢাকায় আসছে এবং ঢাকা থেকে বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হচ্ছে। বৈঠকে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩ হাজার ৪৪৯ কোটি ৫ লাখ টাকার ফিজিক্যাল প্রটেকশন সিস্টেম (পিপিএস) প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পটি গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে অনুমোদন পায়।

প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে- টার্মিনাল ও সিকিউরিটি ইকুইপমেন্টসহ ২ লাখ ২৬ হাজার বর্গমিটারের নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ, টানেলসহ ৬২ হাজার বর্গমিটার মাল্টি লেভেল কার পার্কিং তৈরি, ৪১ হাজার ২০০ বর্গমিটার নতুন কার্গো কমপ্লেক্স, ৫ হাজার ৯০০ বর্গমিটার ভিভিআইপি কমপ্লেক্স তৈরি, ১ হাজার ৮৪০ বর্গমিটার রেসকিউ অ্যান্ড ফায়ার ফাইটিং স্টেশন ও ইকুইপমেন্ট কেনা, ৬৬ দশমিক ৮৭ লাখ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন, ৪ দশমিক ৯৯ লাখ বর্গমিটার অ্যাপ্রোন তৈরি, ১ লাখ বর্গমিটার ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণ, ১ লাখ ৫৮ হাজার বর্গমিটার শোল্ডার তৈরি, ৮ লাখ ৩৮ হাজার বর্গমিটার জিএসই রোড, ৩৩ হাজার বর্গমিটার সার্ভিস রোড তৈরিসহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

বৈঠকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রথম লটে ২৫ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ২ লাখ টন ইউরিয়া নিরবচ্ছিন্নভাবে আমদানির লক্ষ্যে লটভিত্তিক মূল্য ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে গেলেও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আলাদা অনুমোদনের পরিবর্তে বিশেষ বিবেচনায় এ বছরের অন্যসব লটের অনুমোদনের ক্ষমতা শিল্পমন্ত্রীকে দেওয়ার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথম লটে ২৫ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সারের প্রতি টনের দাম ২৬৫ দশমিক ২৫ ডলার হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় মোট ব্যয় হবে ৫৪ কোটি ২৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা।

বৈঠকে ‘চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি’র একটি সাব কমপোন্যান্টের অন্তর্ভুক্ত ‘সিস্টেমেটিক ইংলিশ টিচিং ফর প্রাইমারি টিচার্সের’ আওতায় ট্রেনিং অব দ্য মাস্টার ট্রেইনার্স ইন ইংলিশ সেবা ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪৬ কোটি ৬৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।

এ ছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ‘খুলনা জেলার ভুতিয়ার বিল ও বর্ণাল সলিমপুর কোলাবাসুখালি বন্য নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ডিজেল প্লান্ট (বিডিপি) লিমিটেটের মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নাধীন আঠারোবাকী নদী ড্রেজিং শীর্ষক একটি কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৪৭ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার টাকা।

সর্বশেষ খবর