বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জিয়ার অধ্যাদেশ বাতিল করতে নতুন আইন করছে বিমান

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

বাংলাদেশ বিমান নিয়ে সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান আমলের একটি অধ্যাদেশ বাতিল করা নিয়ে আরও একটি আইন করতে যাচ্ছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত আইনটির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। আইনটির শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন (রহিতকরণ) আইন, ২০১৯’। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, মুন সিনেমা হল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পর ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সামরিক সরকারগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ফলে সেসব সরকারের অধীনে সময় সময় জারি করা বিভিন্ন অধ্যাদেশও কার্যকারিতা হারায়। তবে সরকারের প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় কিছু অধ্যাদেশ কার্যকর রাখার বিষয়ে ‘কতিপয় কার্যকরণ আইন, ২০১৩’ শিরোনামে একটি আইন হয়। প্রয়োজন না থাকার পরও জিয়ার আমলের ওই অধ্যাদেশটি ২০১৩ সালের ওই আইনে সংযুক্ত রাখা হয়েছিল। সে কারণে এখন অধ্যাদেশটি বাদ দিতে নতুন আইন করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিমান করপোরেশন নিয়ে ১৯৭৭ সালের অধ্যাদেশটির বিষয়ে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। ফলে আইনটি বাদ দেওয়া হয়নি। এখন বিমানের পরিচালনা পর্ষদ মনে করছে যে, আগের অর্ডিন্যান্সটির পরিবর্তে নতুন কোনো আইন করে অধ্যাদেশটি বাতিল করা যেতে পারে। সে কারণে নতুন আইন হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আইন, হোটেল ও রেস্তোরাঁ সেলের এই অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, অর্ডিন্যান্সটি বাতিল না হলেও যেহেতু বিমান লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়েছে, সেহেতু সংস্থাটি কোম্পানি আইনেই পরিচালিত হচ্ছে। শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই সংস্থার পরিচালনা পর্ষদে রয়েছে সরকারের প্রতিনিধি। কোম্পানি আইন অনুযায়ী এই পরিচালনা পর্ষদই সংস্থাটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। সূত্রগুলো জানায়, কতিপয় কার্যকরণ আইন, ২০১৩ এর তফসিলের ৪১ নম্বর ক্রমিকে ১৯৭৭ সালে হওয়া বিমান করপোরেশন সংক্রান্ত এই অধ্যাদেশটি সংযুক্ত করা হয়েছিল। এর আগে বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন অডিন্যান্স, ১৯৭৭ বাদ দেওয়া সমীচীন হবে কিনা এ বিষয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের কাছে পরামর্শ চাওয়া হলে তারা জানিয়েছিল, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড যেহেতু কোম্পানি, সেহেতু কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ দ্বারা বিমানের কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। তাই এ ক্ষেত্রে নতুন আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা নেই। অপরদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড করপোরেশন থেকে কোম্পানিতে রূপান্তরের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য অর্ডিন্যান্সটি সংশোধিত আকারে রাখার সুপারিশ করে লেজিসলেটিভ বিভাগ। ফলে আইনটি আর বাদ দেওয়া হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর